ভিডিও কলে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দেখলেন মন্ত্রী, মেরামতের নির্দেশ

অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে কণ্ঠিনালা নদীর বাঁধ। আজ শুক্রবার, পূর্ব বেলাগাঁও গ্রাম, জুড়ী, মৌলভীবাজার। ছবি: প্রথম আলো
অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে কণ্ঠিনালা নদীর বাঁধ। আজ শুক্রবার, পূর্ব বেলাগাঁও গ্রাম, জুড়ী, মৌলভীবাজার। ছবি: প্রথম আলো

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব বেলাগাঁও গ্রামে কণ্ঠিনালা নদীর বাঁধের তিনটি এলাকায় প্রায় ১৫০ মিটার ভেঙে গেছে। ভিডিও কলের মাধ্যমে এসব স্থান দেখে আজ শুক্রবার স্থানীয় সাংসদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন দ্রুত বাঁধ মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, কয়েক দিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে গত বুধবার রাতে পূর্ব বেলাগাঁওয়ে হাবিব মিয়া, নায়েব আলী ও ইসমাইল মিয়ার বাড়ির সামনে কণ্ঠিনালা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এ বাঁধের ওপর দিয়ে অন্তত পাঁচ হাজার লোক উপজেলা সদরে চলাচল করে। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় তারা দুর্ভোগে পড়েছে।

আজ বেলা দুইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অসীম চন্দ্র বণিক, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মৌলভীবাজার কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাছুম রেজা ভাঙনকবলিত তিনটি স্থান পরিদর্শন করেন। তাঁরা একপর্যায়ে ঢাকায় অবস্থানরত মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ভাঙনকবলিত স্থানগুলো দেখান। এ সময় মন্ত্রী ইউএনও, পাউবোর প্রকৌশলীসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বাঁধ দ্রুত মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

জানতে চাইলে পাউবোর প্রকৌশলী খোরশেদ আলম বলেন, ‘তিনটি স্থানে বাঁধের আনুমানিক ১৫০ মিটার জায়গা ভেঙে গেছে। মন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে মেরামতকাজের নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের পরিদর্শনের প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করব। অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই এখানে কাজ শুরু হয়ে যাবে।’

ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিক বলেন, ‘মেরামতকাজে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা লাগতে পারে। পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ব্যয় মেটানোর তহবিল তাঁদের রয়েছে।’