করোনাকালের সহায়তায় মাসিক ব্যবস্থাপনায় স্যানিটারি প্যাড

যাঁরা স্যানিটারি প্যাডের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন তাঁরা তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী এ পণ্যটি মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
যাঁরা স্যানিটারি প্যাডের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন তাঁরা তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী এ পণ্যটি মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের বিস্তারে মানুষ দিশেহারা। মানুষ কর্মহীন। অনেকের বেতন বন্ধ। শুধু নিম্নবিত্ত নয়, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারে খাবার নেই। এই অবস্থায় নারী ও মেয়ে শিশুদের পিরিয়ড বা মাসিকের সময় অনেক পরিবারই স্যানিটারি প্যাড কিনতে পারছে না। অন্যদিকে লকডাউনের কারণে অনেকের হাতে টাকা থাকলেও বাইরে গিয়ে কিনতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রে পণ্যটিও পাওয়া যাচ্ছে না।

খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন সহায়তা নিয়ে সরকার, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি উদ্যোগ করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। এসব সহায়তায় প্রথমত খাবার, শিশুখাদ্য, ওষুধ গুরুত্ব পেয়েছে। এসব সহায়তা প্যাকেজেও স্যানিটারি প্যাডের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায়নি। তবে এর মধ্যেও যাঁরা স্যানিটারি প্যাডের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন, তাঁরা তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী এ পণ্যটি মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। কেননা করোনাভাইরাসের বিস্তারে মানুষের জীবন ওলটপালট হয়ে গেলেও যে নারী ও শিশুদের মাসিক হচ্ছে, তা এ সময়ে বন্ধ থাকেনি বা থাকবে না।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ষষ্ঠ শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বইটিতে ঋতুস্রাব বা মাসিককে একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণত ৯ থেকে ১২ বছর বয়সে মেয়েদের মাসিক শুরু হয়। মাসিক হলে কী ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, স্যানিটারি প্যাড বা কাপড় পরার নিয়ম বলে দেওয়া হয়েছে বইতে।

গত বছর নারীর অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন উইমেন জানিয়েছে, নারীর জীবন বদলে দেওয়া পাঁচটি উদ্ভাবন হলো হিপ্পো রোলার (পানি সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত চাকাযুক্ত একধরনের ড্রাম), বাইসাইকেল, ইন্টারনেট, স্যানিটারি প্যাড ও প্যান্ট। সংস্থাটি বলছে, স্যানিটারি প্যাড উদ্ভাবন নারী ও কিশোরীর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, স্কুলে মেয়েদের উপস্থিতি বাড়িয়ে দেয়, কাজ ও উপার্জনের সুযোগ বৃদ্ধি করে। এ সংস্থাটির ‘কোভিড-১৯ বাংলাদেশ: র‍্যাপিড জেন্ডার অ্যানালিসিস’ শিরোনামে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে চলতি মে মাসেই। জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ নামের একটি জোটের উদ্যোগে করা গবেষণায় দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ মানুষের করোনাকালে অপরিহার্য স্বাস্থ্য উপকরণ যেমন সাবান, স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারের সুযোগ নেই। তাই সেখানে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের বিষয়টি অবশ্যই হোঁচট খেয়েছে।

নিম্ন বা স্বল্প আয়ের নারীরা কীভাবে তাঁদের মাসিককালীন ব্যবস্থাপনা করছেন, তা জানতে সম্প্রতি ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ‘নারীর মাসিককালীন ব্যবস্থাপনায় লকডাউনের প্রভাব’ শিরোনামে একটি গুণগত গবেষণা করেছে। মে মাসের প্রথম দিকে চালানো গবেষণা জরিপে ছয়টি ভিন্ন স্তরের মোট ৩০ জন নারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। জরিপে অংশ নেওয়া নারীদের বয়স ১৬ থেকে ৪৫ বছর। এতে বলা হয় কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শহরাঞ্চলের বস্তি বা নিম্ন আয়ের এলাকা এবং গ্রামাঞ্চলেও মাসিক ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত উপকরণের বিক্রি কমেছে।

রাজধানীর সেঁজুতি শোণিমা (নদী)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করেছেন। টিচ ফর বাংলাদেশের একটি ফেলোশিপের অংশ হিসেবে রায়েরবাজারের রাজমুশুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বছর থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির একটি শাখার শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে ৬২টি শিশুকে পড়াতেন। লকডাউনের কারণে পড়ানো বন্ধ। তবে এই শিক্ষার্থীদের পরিবারসহ নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর এ উদ্যোগে বন্ধু, স্বজনেরাও এগিয়ে এসেছেন।

টিচ ফর বাংলাদেশের ফেলোশিপের আরেকটি অংশ হিসেবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড লিডারশিপ বিষয়ে মাস্টার্স করা সেঁজুতি শোণিমা নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে জানালেন, লকডাউনের শুরুতে নিজের পরিবারের জন্য বিভিন্ন পণ্য কিনলেও স্যানিটারি প্যাড কেনার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। তারপর প্রয়োজনের সময় এই পণ্য কিনতে তাঁকে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হতে হয়েছিল এবং কিনতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। তারপর তিনি যখন তাঁর শিক্ষার্থীদের পরিবারের জন্য সহায়তা দেন, তখন চাল–ডালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের প্যাকেটে একটি করে স্যানিটারি প্যাড দিয়ে দেন।

২০১৮ সাল থেকে স্কুলে পিরিয়ড বা মাসিক শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের ভয় দূর করার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলার উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জরুরি প্যাড কর্নার চালু করেছেন শাকির মাটি ও মারজিয়া প্রভা নামের দুই তরুণ-তরুণী। মাসিক নিয়ে সচেতনতা, স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কাপড় ব্যবহারসহ সার্বিক স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি নিয়ে তাঁদের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে।

প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মারজিয়া প্রভা জানালেন, একদম শুরুতে তাঁদের উদ্যোগের নাম ছিল ‘ডোনেট আ প্যাড ফর হাইজিন বাংলাদেশ’ (স্বাস্থ্যসম্মত বাংলাদেশের জন্য একটি প্যাড দান করুন)। এটা শুরু হয়েছিল মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার নিয়ে যে ‘ট্যাবু’ বা গোপনীয়তা আছে, তা ভাঙতে।

করোনাভাইরাসের বিস্তারের পর থেকে ফেসবুকে ‘নিরাপদ মাসিক আমাদের অধিকার’ শিরোনামে একটি কর্মসূচি হাতে নিয়ে নিয়েছেন মারজিয়া প্রভা ও তাঁর দলের অন্যরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে যাঁরা অর্থাভাবে স্যানিটারি প্যাড কিনতে পারছেন না, তাঁদের জন্য চালু করেছেন বিনা মূল্যে ইমার্জেন্সি প্যাড সার্ভিস। এর বাইরে বান্দরবানের পাওমাং স্কুলে ১০০ প্যাকেট স্যানিটারি প্যাড দিয়েছেন। ঢাকায় ভাসমান যৌনকর্মীসহ ব্যক্তিগত পর্যায়ে চাওয়ার পর বিভিন্ন নারীদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫৮ প্যাকেট স্যানিটারি প্যাড বিতরণ করেছেন।

লকডাউনে বাড়িতে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘উইথ শি’ নামে একটি কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। খুলনার ইমরান জাহান আশরাফ, ফারজিয়া আহমেদ, শুভ্র মজুমদার, ফাইরুজ ফাইজাহ বিথার, আশিকুজ্জামান শেখ, সুমাইয়া শাফাত, হাবিবুর রহমানসহ একদল তরুণ এ কর্মসূচিটি পরিচালনা করছেন। নির্দিষ্ট হটলাইন ও ফেসবুক পেজে প্যাডের চাহিদার কথা জানালে স্বেচ্ছাসেবকেরা তা বাড়িতে পৌঁছে দেন। পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না, তবে স্যানিটারি প্যাকেটপ্রতি ন্যূনতম একটি দাম রাখা হচ্ছে। খুলনা থেকে উদ্যোগটি শুরু হলেও বর্তমানে খাগড়াছড়িসহ দেশের ৯টি জেলায় তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। খাগড়াছড়ি দলের স্বেচ্ছাসেবক কেলী চৌধুরী নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে স্যানিটারি প্যাড পৌঁছে দিচ্ছেন। এভাবে বিভিন্ন জেলায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তরুণেরাই অংশ নিচ্ছেন।

‘উইথ শি’র সার্ভিস অ্যান্ড ডেলিভারিপ্রধান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা যাঁরা এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, তাঁরা আগে থেকেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের সূত্রে পরিচিত। দেশে লকডাউন শুরু হলে কিছু একটা করতে চাচ্ছিলাম। তখন নারী ও মেয়ে শিশুদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নিই। শুধু প্যাড পৌঁছে দেওয়া নয়, আমরা মাসিক, স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারসহ পুরো বিষয়টিতে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। ফেসবুকের মাধ্যমেই একটি কুইজ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করেছি। আমরাসহ মোট ৫৬টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা যৌথভাবে এ কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করে। আমরা চাচ্ছি ২০২৪ সালের মধ্যে দেশব্যাপী মাসিক নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে।’

হাবিবুর রহমান জানালেন, লকডাউনের পর থেকে এ পর্যন্ত শুধু খুলনাতেই বিভিন্ন বিষয় জানতে চেয়ে পাওয়া ফোন কলের সংখ্যা ৫০০টি। এ সময়ে খুলনায় ২০০ স্যানিটারি প্যাড বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। পাঁচ পিসের স্যানিটারি প্যাকেটের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে ২৫ টাকা নেওয়া হয়। তবে কোনো পরিবারের এ টাকা দেওয়ার অবস্থা না থাকলে বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। জরুরি পরিস্থিতিতে গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী ব্র্যান্ড দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সব সময় চেষ্টা করা হচ্ছে বাজারে বিক্রি হওয়া ভালো ব্র্যান্ডের স্যানিটারি প্যাড দেওয়ার জন্য।

উৎসর্গ ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র শেখ শাহরিয়ার (পান্না) জানালেন, তাঁরা ঢাকায় ফোন কলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের হাতে স্যানিটারি প্যাড পৌঁছে দিয়েছেন। এর বাইরে খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, বরগুনা, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামে প্রায় দেড় হাজার নারী ও শিশুর হাতে প্যাড তুলে দিয়েছে এ সংগঠন। ফাউন্ডেশনটি বর্তমানে দেশের ৫৫টি জেলায় স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে কাজ করছে।

শেখ শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে গ্রামপর্যায়ে কার্যক্রমটি শুরু করেছিলাম। কিন্তু অর্থসংকটের কারণে পরিকল্পনায় ভিন্নতা আনতে হয়। আমরা মানুষের কাছে আহ্বান জানাই আপনার প্রয়োজনের খাতিরে আপনি একটি প্যাকেট কিনুন এবং অন্য একটি ডোনেট করুন যেটি আমরা পৌঁছে দেব গ্রামের মানুষদের। পরে ঢাকায় শুরু করি “বাই ওয়ান ডোনেট ওয়ান” কার্যক্রম। হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে স্যানিটারি প্যাড পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং একটি কিনলে আরেক প্যাকেট কিনে বা সমপরিমাণ অর্থ ডোনেট করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। তা দিয়েই প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী ও শিশুদের বিনা মূল্যে প্যাড দেওয়া হচ্ছে।’

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমেদ খান এবং ফারহানা সুলতানা দীর্ঘদিন ধরে পাট দিয়ে পরিবেশবান্ধব স্যানিটারি প্যাড তৈরির সঙ্গে যুক্ত আছেন। আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী ফারহানা সুলতানা বলেন, ভাইরাসসৃষ্ট বর্তমানের দুর্যোগে নারীর মাসিক ব্যবস্থাপনাকে অবহেলা করার সুযোগ নেই। এটি জীবনের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। তবে অন্যান্য দুর্যোগের মতো বর্তমান দুর্যোগেও গুরুত্বপূর্ণ এ পণ্যটি বা মাসিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না।

ফারহানা সুলতানার মতে, যেসব ব্যক্তি বা সংগঠন বর্তমানে স্যানিটারি প্যাডের বিষয়টাতে গুরুত্ব দিচ্ছে তা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে বিষয়টিতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারের বিভিন্ন ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমে স্যানিটারি প্যাডের পাশাপাশি আন্ডারওয়্যার (প্যান্টি) বিতরণ করা প্রয়োজন। তবে দেশের বেশির ভাগ নারী এখন পর্যন্ত বাজারে বিক্রি করা স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারে অভ্যস্ত নন। তাই যে নারীরা মাসিকের সময় পুরোনো কাপড় ব্যবহার করেন, তা যাতে পরিষ্কার হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার করা হয় এবং ব্যবহারের পর যাতে যথাযথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধি মানা হয়, সে–সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা প্রয়োজন।

ফারহানা সুলতানা জানালেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে পাট দিয়ে স্যানিটারি প্যাড তৈরির প্রকল্পটিতে ল্যাব টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে হাতে প্যাড তৈরি করা হচ্ছে। এই প্যাড বানানোর জন্য একটি মেশিন বানানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে করোনার কারণে বিভিন্ন বস্তিতে নারী ও শিশুরা এ প্যাড ব্যবহার করার পর যে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, সে কার্যক্রমটি স্থগিত আছে।