দৌলতদিয়ায় ছোট গাড়ি ও মানুষের চাপ, সব কটি ফেরি চলছে
টানা সাধারণ ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার থেকে ফের অফিস, প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ছুটতে শুরু করেছেন রাজধানীর দিকে। ফলে আজ শনিবার সকাল থেকেই দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া পথে সকাল থেকেই ছিল মানুষের চাপ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। গাড়ি ও যাত্রী দ্রুত পারাপার করতে শেষ পর্যন্ত ঘাটের সব কটি ফেরি চালু রাখা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, ঈদের পর গত বুধবার থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ রাজধানীর দিকে ছুটতে থাকেন। তবে গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার সবচেয়ে বেশি মানুষ এই ঘাট দিয়ে পার হন। শনিবার অনেক অফিস খোলায় শুক্রবার বেশির ভাগ মানুষ নদী পাড়ি দিয়েছেন। আবার অনেকের রোববার থেকে অফিস খোলায় শনিবার ছুটতে থাকেন। দিনের প্রথম প্রহরে ঘাটে ছিল মানুষের চাপ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় কমতে থাকে। তবে ছোট বা ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। পরে নয়টি ফেরির পরিবর্তে ছোট-বড় মিলে ১৪টি ফেরি চালু করা হয়েছে।
শনিবার সকালে দৌলতদিয়ায় দেখা যায়, চারটি ঘাট চালু রয়েছে। তবে ৫ নম্বর ঘাটে যাত্রী পারাপার হচ্ছে বেশি। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছতে ছোট বা ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য বিকল্প সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়েই রয়েছে লাইন। একই সঙ্গে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলো থেকে নেমে আসা যাত্রী ও যানবাহনগুলো এই বিকল্প সড়কের এক পাশ দিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে উঠছে। যাত্রীদের আসা-যাওয়া ও গাড়ির লম্বা লাইন দেখে মনে হয় দৌলতদিয়া ঘাটের চিরচেনা দৃশ্য ফিরে আসতে শুরু করেছে। একদিকে যাত্রী ও গাড়ি ফেরি থেকে নেমে মহাসড়কে উঠছে, আরেক দিকে ফেরিতে গিয়ে উঠছে। কেউ তাড়াহুড়া করে ফেরিতে উঠতে গিয়ে দৌড় দিচ্ছে। আবার মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিতে উঠতে গিয়ে কেউ পড়েও যাচ্ছেন।
রাজবাড়ীর কালুখালী গ্রামের বাড়ি থেকে গাজীপুরের বাসায় ফিরে যাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কামরুল ইসলাম। মোটরসাইকেলে স্ত্রী, সন্তানসহ ব্যাগ চারপাশে ঝুলিয়ে রওনা দেন। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘প্রাইভেট কার বা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে তো যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সম্বল এই মোটরসাইকেল। একসঙ্গে যেতে অনেকটা কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই, এভাবেই যেতে হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব আলী সরদার বলেন, সকালে প্রথম দিকে ৯টি, পরে ১১টি থেকে বাড়িয়ে দুপুর থেকে ১৪টি ফেরি চলছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট গাড়ির চাপ বাড়ছে। সেই সঙ্গে যাত্রীও রয়েছে। সকালে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। তবে রোববার থেকে যাত্রীর চাপ অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।