৮০ নয়, বাসভাড়া বাড়ছে ৬০%

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সমালোচনার মুখে বাস–মিনিবাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ নয়, ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। আজ দুপুরে বাসভাড়া নিয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে হয়। সেখানে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুক্ত হন সড়কপরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানেই তিনি ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গতকাল শনিবার ঢাকা ও সারা দেশে বাস–মিনিবাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব তৈরি করে।

কাল সোমবার থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। প্রতিটি বাস–মিনিবাসের অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চালানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিআরটিএ। এর ফলে পরিবহনমালিকেরা লোকসানের কথা উল্লেখ করে শতভাগ ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করেন। কিন্তু বিআরটিএর ভাড়া নির্ধারণে স্থায়ী ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করে। এরপর এই নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আজ সড়কমন্ত্রী ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।

সড়ক মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্তে সিদ্ধান্তে বলা হয়, দূরপাল্লার পথে এখন ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে বর্ধিত ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া দূরপাল্লার পথে থাকা সড়ক ও সেতুর টোলও মোট ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে।

ঢাকা ও এর আশপাশে মিনিবাসের কিলোমিটার-প্রতি ভাড়া হার ১ টাকা ৬০ পয়সা। আর বড় বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা। মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা এবং বড় বাসে ৭ টাকা। সোমবার থেকে এর সঙ্গে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া যোগ হবে।

এই ভাড়া হার করোনাকালের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনঃপ্রযোজ্য হবে।

যাত্রী অধিকার নিয়ে সোচ্চার ব্যক্তিরা বলছেন, অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার জন্য ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু পরিবহনমালিকেরা অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখবেন, এর নিশ্চয়তা কী? যদি কেউ বাড়তি যাত্রী তোলেন, তখন তো আর সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে না। বাড়তি ভাড়াও নেওয়া হয়ে যাবে। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পক্ষে এই বাড়তি ভাড়া বহন করা সম্ভব হবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।