কুমিল্লার বাজারে মৌসুমি ফলের ছড়াছড়ি
প্রকৃতির পালাবদলে ঘুরে এসেছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন ফলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন বাজারে। লিচু, কাঁঠাল, আম, তালের শ্বাস, আনারস, বেল, বাঙ্গি, তরমুজের মতো ফলের গন্ধে একাকার প্রতিটি বাজার। অবশ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে ক্রেতা কম। প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম না পেয়ে বিক্রেতারা কিছুটা হতাশ।
শনিবার দুপুরে নগরের রাজগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, নানা ধরনের ফলের সমারোহ। এসেছে ভারত সীমান্ত এলাকার পাহাড়ি কাঁঠাল ও আনারস। সাইকেলে করে সেগুলো এই বাজারে এনেছেন সীমান্ত এলাকার মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা। কাঁঠালের দাম গতবারের চেয়ে এবার কিছুটা কম। আগে ছোট আকারের কাঁঠাল বিক্রি হতো ৬০-৭০ টাকায়। এবার তার চেয়ে ১০ টাকার মতো কম। মাঝারি আকারের কাঁঠালের দাম ৯০ টাকা। বড় আকারের কাঁঠালের দাম ১০০ বা তার বেশি। আনারসের হালি ১২০ টাকা। বেলের হালি ২০০ টাকা। তালের শ্বাস বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ২০ টাকা করে। নগরের রাণীর বাজার, নিউ মার্কেট, কুমিল্লা জেলখানা সড়ক এলাকাতেও বসেছে ফলের পসরা।
নগরের কান্দিরপাড় মোড়ে টসটসে লিচু বিক্রি হচ্ছে। ১০০টি লিচুর দাম ২০০-২৫০ টাকা। পাকা আমের কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। কালো রঙের তরমুজ ১৫০ টাকা, বাঙ্গি ৫০-১৫০ টাকা। নগরের ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা অহিদুজ্জামান বলেন, ‘বড় আকারের লিচু এখনো বাজারে ওঠেনি। এখন যে লিচু উঠছে তার দাম বেশি, টকও বেশি।’
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি থেকে সাইকেলে কাঁঠাল নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারে এসেছিলেন আবদুল আলিম (৫৬)। তিনি বলেন, কাঁঠাল নিয়ে আসতে হলে পথে বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিতে হয়। ফলে দাম বেশি পড়ে যায়। কিন্তু শহরে এসে দেখছেন, ক্রেতার সংখ্যা কম। তাই কাঁঠালের দামও কম। ফলে গতবারের তুলনায় তেমন লাভ করতে পারছেন না তিনি।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে নানা ধরনের দেশীয় ফল বাজারে এসেছে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে। ভাইরাস মোকাবিলায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দরকার। এই সময়ে দেশি ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হবে।