কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে লঞ্চ-স্পিডবোট চলছে, ফেরিতে ভিড় কম

লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের ভিড় কম ছিল ফেরিতে। লঞ্চে ভিড় ঠেকাতে পুলিশের নজরদারি। আজ রোববার দুপুরে কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটে। ছবি: প্রথম আলো
লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের ভিড় কম ছিল ফেরিতে। লঞ্চে ভিড় ঠেকাতে পুলিশের নজরদারি। আজ রোববার দুপুরে কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটে। ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে এখনো ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। তবে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় কমেছে। লঞ্চেও তেমন ভিড় না হলেও স্পিডবোটে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।

বিআইডব্লিউটিএ কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখ দুপুর থেকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ ও আড়াই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফেরি চালু থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিত। শনিবার বিকেলের দিকে লঞ্চ মালিক সমিতির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ রোববার সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলের সিদ্ধান্ত। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

আজ দুপুর কাঁঠালবাড়ি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গত দুই দিনের তুলনায় কাঁঠালবাড়িতে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম। তবে ব্যক্তিগত যানবাহনের জটলা রয়েছে। ঘাটের প্রতিটি সংযোগ সড়কে আটকা পড়েছে অন্তত আড়াই শতাধিক যানবাহন। ঢাকামুখী যাত্রীরা ঘাটে এসে ফেরি না পেয়ে তাঁরা এখন আর অপেক্ষা করছে না। চলে যাচ্ছে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে। লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব দেখা গেলেও স্পিডবোটগুলো আগের নিয়মেই চলাচল করছে। প্রতিটি স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে।

ঢাকাগামী যাত্রী সাইদুল বাশার বলেন, ‘ঘাটে এসে দেখি ফেরি নেই। ঘাটের ভিড়তে নাকি দেরি হবে, তাই স্পিডবোট ভাড়া বেশি দিয়েই উঠে যাই।’ সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে এ যাত্রী বলেন, ‘ফেরিতেও ভিড়, গাড়িতেও ভিড়। স্পিডবোটে ভিড় মেনে কী হবে। করোনা হলে এমনি হবে।’

কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বি এম আতাউর রহমান আতাহার ব্যাপারী বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দুই মাসের বেশি সময় ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা রোববার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছি। স্পিডবোটগুলোকে একই নিয়ম মানতে বলা হয়েছে।’

বিআইডব্লিউটিএর কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু করেছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সব প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের পারাপার হতে হবে। লঞ্চ ও স্পিডবোট মালিক-চালক ও শ্রমিকদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌযান পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না। এই নির্দেশ অমান্য করার চেষ্টা করলে সেই নৌযানকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।