মাদারীপুরে তিন পুলিশসহ এক দিনে সর্বোচ্চ ২৩ জনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন পুলিশ সদস্যসহ এক দিনে সর্বোচ্চ ২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলার চারটি উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩। আজ বোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সর্বোচ্চ ২৪৪ জনের করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। এর মধ্যে ২৩ জনের প্রতিবেদন আসে পজিটিভ। অন্যদের নেগেটিভ আসে। নতুন শনাক্ত ২৩ জনের মধ্যে ১৫ জনের বাড়ি রাজৈর উপজেলায়, যা এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ ছাড়া কালকিনিতে নতুন আক্রান্ত চারজনের মধ্যে তিনজনই কালকিনি থানার পুলিশ সদস্য। সদর ও শিবচর উপজেলায় নতুন দুজন করে চারজন শনাক্ত হয়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচজন। বর্তমানে সরকারি হাসপাতাল ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন ৩৩ জন। অন্যরা বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদিকে সদর উপজেলায় নতুন করোনায় আক্রান্ত দুজনকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। নাম প্রকাশ না করে এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন আক্রান্ত দুজন অসচেতন মানুষ। একজনের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ, ঠিকানাও ভুল। তাঁকে খুঁজে পাচ্ছি না। অপর একজন ঢাকায় গিয়ে কাজ শুরু করেছেন। ফোন করা হলে তাঁর ঠিকানা তিনি বলছেন না। তিনি নিজেকে সুস্থ দাবি করে আর ফোনও ধরছেন না।’

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, করোনায় উপজেলায় নতুন চারজনের মধ্যে থানার তিনজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তাঁরা তিনজন আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁরা সুস্থ আছেন, এখন পর্যন্ত কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের সংস্পর্শে থাকা পুলিশ সদস্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে এবং সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত ২৩ জনের মধ্যে রাজৈর উপজেলায় রয়েছে ১৫ জন। তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউন উঠে যাওয়ায় সংক্রমণ এখন ক্রমেই বাড়বে। আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।’ সদরে নতুন আক্রান্ত দুজন খুঁজে না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরাও তাঁর সন্ধান পাচ্ছি না। তাই নথিতে পাওয়া নাম–ঠিকানা ও ফোন নম্বর পুলিশকে দিয়েছি। তারাই খুঁজে আনবে।’