বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষা শুরু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে পাঁচটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাঁচটি নমুনার ফলাফলই ‘নেগেটিভ’ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান।

টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান জিনিয়া আফরিন ও সহকারী অধ্যাপক ফাহিম উদ্দিন আহাম্মেদের নেতৃত্বে কলেজে বসানো পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) যন্ত্রে আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা হয়।

মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলোজি বিভাগের ইনচার্জ মোমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পিসিআর যন্ত্রে প্রতিদিন ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। প্রতিদিন দুই শিফটে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। প্রতিটি শিফটে ৯ জন করে বিশেষজ্ঞ, ১৪ জন করে চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং ৯ জন করে মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কলেজের মাইক্রোবায়োলোজি বিভাগ ছাড়াও প্যাথলজি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের বিশেষজ্ঞরাও পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

মোমিনুর রহমান জানান, প্রথম দিনে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল থেকে পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হয়। চার ঘণ্টা পর ফলাফল নির্ণয় করা হয়েছে। সোমবার থেকে নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে।

টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক হোসনে আরা প্রথম আলোকে বলেন, কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পিসিআর যন্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষার জন্য ৩ হাজার ৫০০ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে। যেকোনো নাগরিক নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে নমুনা পরীক্ষা করাতে পারবেন। টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও ৭৫০ শয্যাবিশিষ্ট রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের ভর্তি হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রেও এই ফি প্রযোজ্য হবে। এখানে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হওয়ায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা সহজে পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল থেকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সরকারি উদ্যোগে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয়। কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল আলম বলেন, মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া জেলা থেকে সংগ্রহ করা ৫ হাজার ২০০, জয়পুরহাট জেলা থেকে সংগ্রহ করা ১ হাজার ৪৫৯ এবং সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও গাইবান্ধা জেলার ১২১টি নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।