লিবিয়ায় ২৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা, আটক ১

লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মামলা হয়েছে। সাত মানব পাচারকারীকে অভিযুক্ত করে রোববার বিকেলে মামলাটি করেন লিবিয়ায় নিহত সাদ্দাম হোসেনের বড় ভাই মোবারক হোসেন।

লিবিয়ায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ভৈরবের চারজন, একই ঘটনায় উপজেলার আরও চারজন আহত হয়েছেন।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের বাসিন্দা তানজিরুল ওরফে তানজিমকে। তানজিরুল বর্তমানে লিবিয়ায় রয়েছেন। ওই মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তানজিরুলের বড় ভাই বাচ্চু মিয়াকে আটক করেছে। লিবিয়ার ওই ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়াও নিহত হয়েছেন।

আটক হওয়ার আগে বাচ্চু মিয়া বলেন, তিনিও ছেলে হারিয়েছেন। তাঁর ভাই তানজিরুলের মাধ্যমে মোটা টাকা দিয়েই ছেলেকে ইতালি পাঠাতে চেয়েছিলেন। কোনোভাবেই তিনি ভাইয়ের সহযোগী ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, সিআইডি দলটি প্রথমে লিবিয়ায় ভৈরবের হতাহতদের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা শোনেন। এই সময় সবার মুখ থেকে তানজিরুলসহ আরও কয়েকজনের নাম ওঠে আসে। তার ভিত্তিতে বাচ্চুকে আটক করা হয়।

আর বাদী মোবারক হোসেনের দাবি, প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে তানজিরুল কয়েক মাস আগ থেকে ভৈরবের হতাহতদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। প্রতিজনের কাছ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আদায় করেন। এই কাজে তানজিরুলের সহযোগী ছিলেন বাচ্চুসহ কয়েকজন।

পুলিশ জানায়, মামলায় মানব পাচারের উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আটক করে মুক্তিপণ দাবি এবং শেষে গুলি করে হত্যা ও জখম করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, তানজিরুলের মাধ্যমে হতাহত বাংলাদেশিরা লিবিয়া থেকে ইতালি পাড়ি জমানোর চেষ্টায় ছিলেন। তানজিরুলের প্ররোচনায় তাঁরা বিপদের মুখে পড়েন।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, লিবিয়ায় বাংলাদেশি হত্যার ঘটনাটি এখন আন্তর্জাতিক সংবাদ। বেদনাদায়ক এই সংবাদ সৃষ্টি হয়েছে ভৈরবের কিছু মানব পাচারকারীর জন্য। চেষ্টা থাকবে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার।