লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা: ভৈরবে প্রধান আসামির ভাই কারাগারে

লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে করা মামলার প্রধান আসামির ভাইকে আজ সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি লিবিয়ায় অবস্থান করা মানবপাচারকারী তানজিরুল ওরফে তানজিম। গতকাল রোববার তাঁর ভাই বাচ্চু মিয়াকে আটক করা হয়।

আটক বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল সাতজনকে আসামি করে ভৈরবে একটি হত্যা মামলা হয়। তানজিরুল ও বাচ্চুর বাড়ি উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে।

এদিকে মানবপাচারকারী চক্রকে ধরতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ভৈরবে সক্রিয় আছেন। ইতিমধ্যে দলটি সন্দেহভাজন একাধিক মানবপাচারকারীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিবিয়ায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে গ্রেপ্তার বাচ্চুর এক ছেলেও আছেন। তাঁর নাম সাকিব মিয়া। ভৈরবে মানবপাচার চক্রের একাধিক সিন্ডিকেটের অবস্থান। চক্রগুলো বছরের পর বছর ধরে ভৈরব থেকে অবৈধপথে মানবপাচার করে আসছে। তাদের ফাঁদে পড়ে এরই মধ্যে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে চক্রের সঙ্গে বাচ্চুর যোগসূত্র পাওয়া গেছে। সেই কারণে বাচ্চুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল আলম খান মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা। বাহালুল আলম বলেন, সিআইডির সদস্যরা বাচ্চুকে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যান। তাদের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গতকাল থেকে পাঁচ সদস্যের একটি দল ভৈরবে অবস্থান করছে। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন চক্রের বাকি সদস্যের খোঁজে আছি।'

তবে আটক হওয়ার আগে বাচ্চু সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি পরিস্থিতির শিকার। কারণ, তাঁর ছেলেও লিবিয়ার ঘটনায় মারা গেছে। ভাইয়ের আদম ব্যবসার সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই বলে তিনি দাবি করেন।

লিবিয়ায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে ভৈরবের পাঁচজন আছেন। তাঁরা হলেন উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী (২০), সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি খালপাড়া গ্রামের সৌরভ আহমেদ সোহাগ (১৯), একই ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন আকাশ (২৫), পৌর শহরের ঋষি পাড়ার রাজন চন্দ্র ঋষি (২৫) ও শ্রীনগর ইউনিয়নের সাকিব মিয়া (২২)।

আরও পড়ুন: