মাস্ক না পরায় কিনে দিতে হলো ১০টি মাস্ক

জরিমানা হিসেবে আদায় করা মাস্ক দেওয়া হচ্ছে দরিদ্র মানুষদের। আজ সোমবার দুপুরে সৈয়দপুরের বঙ্গবন্ধু সড়কে। ছবি: প্রথম আলো
জরিমানা হিসেবে আদায় করা মাস্ক দেওয়া হচ্ছে দরিদ্র মানুষদের। আজ সোমবার দুপুরে সৈয়দপুরের বঙ্গবন্ধু সড়কে। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাস্ক না পরে বের হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তাঁকে গুণতে হয়েছে জরিমানা। তবে টাকার বদলে পুলিশকে ১০টি মাস্ক কিনে দিতে হয়েছে। পরে পুলিশ সেই মাস্ক বিতরণ করেছেন অসহায় মানুষের মধ্যে।

আজ সোমবার দুপুরে শহরের পাঁচমাথা মোড়ে দেখা যায়, মাস্ক না পরে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের লোকজন তাঁকে দাঁড় করান। সেখানে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল মোটরসাইকেল আরোহীকে জেরা করেন। তিনি বলেন, 'আপনি জানেন, করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ সময় মাস্ক বা সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার না করলে ভাইরাসটি দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে?' ওই ব্যক্তি হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলেন তাঁকে বলা হয়, সরকারি নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। এরপর পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে বলেন, 'আমরা কি মামলা করব, নাকি আপনি ১০টি মাস্ক কিনে দেবেন?' মোটরসাইকেল আরোহী ১০টি মাস্ক কিনে দিয়ে রেহাই পান।

ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক চৌধুরী নাহিদ পারভেজ বলেন, মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে শহরের পাঁচমাথা মোড়, মদিনা মোড়, জিআরপি মোড়, সৈয়দপুর বাসটার্মিনাল, ওয়াপদা মোড়, নীলসাগর মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। মাস্ক ব্যবহার না করা ব্যক্তিদের জরিমানা করে আরও মাস্ক সংগ্রহ করা হয়েছে। সেসব মাস্ক পথচারী, রিকশাচালকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এসব কাজে সহযোগিতা করছে সৈয়দপুর থানা–পুলিশ। মাস্ক না পরায় শহরের ১০টি দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, 'করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী সময়ে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নইলে পুলিশ আরও কঠোর হবে।'