মাটিচাপা দেওয়া হলেও বেরিয়ে ছিল একটি পা

শখের বসে এলাকার জঙ্গলে পাখি ধরতে গাছে উঠেছিলেন এক তরুণ। সেখান থেকে দেখতে পান মাটিতে পড়ে থাকা খড়ের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আছে মানুষের পা। তরুণের তাৎক্ষণিক চিৎকারে জড়ো হন এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে মাটিচাপা দেওয়া এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পশ্চিম নারগুন এলাকার একটি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় জানতে পারেনি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে ওই নারীকে হত্যা করে কেউ লাশটি জঙ্গলে মাটিচাপা দেওয়ার পর খড় দিয়ে ঢেকে গেছে। এতে ওই নারীর শরীরে পচন ধরেছে। ওই নারীর পরনে সালোয়ার-কামিজ ছিল। তাঁর বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি হত্যাকাণ্ড হওয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম নারগুন এলাকার ফেরসাডাঙ্গী সেতুর কাছে জঙ্গলে পাখি ধরতে যান স্থানীয় এক তরুণ। তিনি সেখানে একটি গাছে চড়ে পাখি ধারার চেষ্টা করার সময় জঙ্গলের মধ্যে খড়ের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসা পা দেখে চিৎকার দিয়ে গাছ থেকে নেমে যান। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে জানান। ওই ইউপি সদস্য আবার তা ইউপি চেয়ারম্যান পয়গাম আলীকে জানান। ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি পুলিশকে জানান। বিকেল চারটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাটিচাপা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘দুয়েকদিন ধরেই এখান থেকে পঁচা দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। তবে সেটা কিসের দুর্গন্ধ আমরা বুঝতে পারিনি।’