করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ: গণফোরাম

ড. কামাল হোসেন ও রেজা কিবরিয়া। ফাইল ছবি
ড. কামাল হোসেন ও রেজা কিবরিয়া। ফাইল ছবি

গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেছেন, সরকারের অব্যস্থাপনার ফলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং সরকার এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁরা সরকারকে যথাসম্ভব পদক্ষেপ নিতেও আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার গণফোরাম থেকে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এই দুই নেতা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে মার্চের ১১ তারিখেই করোনা পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে, সেখানে সরকার অনেক বিলম্ব করে মার্চের শেষ সপ্তাহে এসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। তাঁদের অভিযোগ, জাতীয় কৌশল নির্ধারণে বাংলাদেশ যথেষ্ট সময় পেয়েও সেটিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে।

সরকারের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে গণফোরামের এই দুই নেতা বলেন, দেশে পরীক্ষার হার অত্যন্ত কম এবং সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকারের দেওয়া তথ্যে জনগণের কোনো আস্থা নেই। বিলম্বে ও শিথিলতার মধ্য দিয়ে যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তার প্রভাবে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এলেও তা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।

দুর্নীতি ও অদক্ষতার ফলে সরকারি সাহায্যের সামান্য অংশ গরিব ও ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ করেছেন এই দুই নেতা।

ড. কামাল ও রেজা কিবরিয়া বলেন, সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ার পরিস্থিতিতে জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে সরকারি ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্য খাতের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হবে সরকার তা কীভাবে মোকাবিলা করবে জনগণ জানতে চায় বলে জানান তাঁরা।

গণফোরামের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ‘যাঁরা রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছেন তাঁদের ক্রমাগত ব্যর্থতার জন্য একদিন জবাব দিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সরকারকে এখনই যথাসম্ভব পদক্ষেপ নিতে হবে।’