মুন্সিগঞ্জে আক্রান্ত ৮০০ ছাড়াল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের ছয় উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এটা এখন পর্যন্ত এ জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চ কোভিড–১৯ রোগী শনাক্তের সংখ্যা। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮০২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪২ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২১ জন।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সচেতনতার কোনো বালাই নেই। যদি পুরো দেশ রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়, তাহলে মুন্সিগঞ্জ জেলা রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশঙ্কা করছি।’

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ ও ৩১ মে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো নমুনার মধ্যে ২৭৫ জনের প্রতিবেদন এসেছে। সেখানে ৬৯ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানানো হয়। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩১ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৯ জন সিরাজদিখান উপজেলায় ৯ জন, লৌহজং উপজেলায় ১১ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৫ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ৪ জন রয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ২৭৫ জনসহ জেলার ৪ হাজার ৭৭৫ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৪০৮ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৩৮৬ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৫২ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ১১৩ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৭৯ জন, লৌহজং উপজেলায় ৮৫ জন এবং গজারিয়া উপজেলায় ৮৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদরে ১ জন স্বাস্থকর্মীসহ ১৩ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৩ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ১ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ১ জন ও লৌহজং উপজেলায় ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এদিকে নতুন করে সদর উপজেলায় ১০ জন ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ২৪২ জন করোনামুক্ত হলেন। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০৩ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৪৬ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৩৯ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ২৬ জন, লৌহজং উপজেলা ১০ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ১৮ জন রয়েছেন।

সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোনোভাবেই করোনার সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। নীরবে করোনাভাইরাস বিস্তার লাভ করছে। এ মুহূর্তে জনসচেতনতা বৃদ্ধি না হলে তা ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করবে। ইতিমধ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলায় ২১ জন মারা গেছেন। তাই ব্যক্তি উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। জেলার সর্বত্রই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে, এমন পরিস্থিতিতে মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। সব ধরনের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।