বিজিবিতে আভিযানিক জলযান
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বহরে নতুন করে যুক্ত হলো দ্রুত গতিসম্পন্ন চারটি আভিযানিক জলযান। ঝড়ো গতিতে চলা এই জলযানটি পানিপথের যেকোনো যানবাহনকে ধাওয়া করে পাকড়াওয়ে সক্ষম।
বিজিবি জানায়, সিলভারক্রাফট ৪০ মডেলের রিইনফোর্সড পলিমারের তৈরি ৪০ ফুট দীর্ঘ ৭৫০ অশ্বশক্তির তিন ইঞ্জিনের প্রতিটি জলযান ৩৩ জন সৈন্য ধারণে সক্ষম। এর গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৫৫ নটিকাল মাইল যা স্থলের হিসেবে ১০১ কিলোমিটার। জলযানগুলো যেকোন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলতে পারবে। এতে আছে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান সংযুক্তির সুবিধা।আছে উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম, চতুর্থ প্রজম্মের জিপিএস ও আধুনিক সোনার সিস্টেম। ৫০ কিলোমিটার দূরত্বের যানকেও এই জলযান শনাক্ত করতে পারে।এতে দুজন মুমুর্ষ রোগী পরিবহনেরও ব্যবস্থা আছে।
বিজিবি জানায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ১৮০ কিলোমিটার নৌসীমান্ত রয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে নৌসীমান্ত ৬৩ কিলোমিটার। ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচছে এসব নৌপথ। এই জলযান এসব ইয়াবা চালান প্রতিরোধে কাজে লাগানো যাবে। একইসঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত, অধিক সৈন্য বহনে সক্ষম দ্রুতগতির এই জলযান বিজিবি'র সক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে।