ঈদের পর বাড়ছে কোভিড-১৯ রোগী, শনাক্ত ২০০ ছাড়াল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জে নতুন করে আরও ৩৯ জনের শরীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। জেলায় একদিনে এতজন কোভিড-১৯ রোগী এর আগে শনাক্ত হয়নি। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২১৩। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৩ জন। মারা গেছেন একজন।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, ঈদের পর থেকে সুনামগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। জেলায় প্রথম রোগী ঈদ পর্যন্ত ৪২ দিনে সংখ্যাটা ছিল ৮২। আর ঈদের পর মাত্র ১০ দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৫ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ৩৯ জনের মধ্যে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্য আছেন ১৪ জন। এ ছাড়া ছাতক উপজেলায় ১২ জন, দোয়ারাবাজার উপজেলায় পাঁচজন, জামালগঞ্জ উপজেলায় তিনজন, সদর উপজেলায় দুজন, শাল্লা উপজেলায় দুজন এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একজন। এর মধ্যে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীও আছেন।

জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্তদের মধ্যে র‌্যাব সদস্য আছেন ৩৬ জন, পুলিশ ২৭ জন, পাঁচজন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী ২৯ জন। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন ৩০ জন। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা পুলিশ হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। র‌্যাব সদস্যদের মধ্যে একজন আছেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের করোনো আইসোলেশন ওয়ার্ডে। বাকি সবাই আছেন নিজ নিজ জোনাল হাসপাতালে।

সুনামগঞ্জে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ঈদের দিন (২৪ মে) পর্যন্ত ৪২ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮২ জন। অথচ ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ১০ দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৫ জন। সোমবার পর্যন্ত জেলায় তিন হাজার ৪০৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ফলাফল জানা গেছে তিন হাজার ২০ জনের। প্রথমে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হতো সিলেটে। কিন্তু সেখানে নমুনা-জট দেখা দেওয়ায় সুনামগঞ্জ থেকে কিছুদিন সরাসরি নমুনা ঢাকায় পাঠানো হচ্ছিল। এখন নমুনা সংগ্রহের পর পাঠানো হচ্ছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে।

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন বলেন, সুনামগঞ্জে ঈদের পর নমুনা সংগ্রহ বাড়ার পাশাপাশি শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে ঈদের পর শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বেশি। আক্রান্তদের অনেকেরই তেমন কোনো উপসর্গ নেই।