সুপ্রিম কোর্টের মৃত গ্রন্থাগারিক কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন না

করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রাজশাহীর বাগমারার বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের গ্রন্থাগারিক আসাদুল ইসলাম (৪০) কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন না। মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। তাঁর স্ত্রীর রিপোর্ট নেগেটিভ।

আজ বুধবার দুপুরে তাঁদের প্রতিবেদন বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছায়। বিশেষ ব্যবস্থায় গত সোমবার রাতে রাজশাহীর বাগমারার ঝাড়গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। দাফনের আগে তাঁর ও স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

 আসাদুল ইসলাম উপজেলার ঝিকড়া ইউনিয়নের ঝাড়গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের গ্রন্থাগারিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকাতেই তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আসাদুল ইসলাম ঈদের আগে থেকে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। বাড়িতে থেকেই ওষুধ সেবন করে সুস্থ হন তিনি। তবে তিন-চার দিন আগ থেকে তাঁর শরীরে আবারও জ্বর দেখা দেয়। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ক্রমেই জ্বরের মাত্রা বেড়ে যায়। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন তিনি।

গত সোমবার দুপুরের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি হাসপাতালে মারা যান। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। জানাজা শেষে কোয়ান্টামের সদস্যরা বিশেষ কায়দায় পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করেন।

মৃত আসাদুল ইসলামের স্বজনেরা জানান, তাঁর করোনার উপসর্গ থাকলেও গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আসাদুল ইসলাম ছাড়াও তাঁর স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলো পরীক্ষার জন্য রাজশাহীর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। আজ বুধবার দুপুরে তাঁদের পরীক্ষার ফলাফল আসে। আসাদুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর নেগেটিভ ফলাফল আসে।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় মারা গেছেন, এমন তথ্য পাওয়ার পর কোয়ান্টামের সদস্যদের দিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃত ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।