পাবনায় করোনা সংক্রমিত আরও ১৩, উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু দুজনের

পাবনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নমুনা পরীক্ষার সর্বশেষ ফলে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদিন রাতেই করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন দুজন।

নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জেলা সদরে ১০ জন ও জেলার সুজানগর উপজেলায় ৩ জন আছেন। জেলায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় গত ১৬ এপ্রিল। এরপর একজন-দুজন করে গত দেড় মাসে জেলার ৯ উপজেলায় রোগী শনাক্ত হলেন ৪৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মেহেদী ইকবাল জানান, রাজশাহী ল্যাব থেকে পাওয়া ফলাফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের অনেকের শরীরেই তেমন কোনো উপসর্গ নেই। সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রেখে নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক আবুল হোসেন জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ১ জুন সুজানগর উপজেলা থেকে এক ব্যক্তি (৬৫) সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনার উপসর্গ থাকায় তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছিল। নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন আসার আগেই তিনি মারা গেছেন।

অন্যদিকে একই রাতে জেলার চাটমোহর উপজেলার গ্রামে অন্য এক ব্যক্তি (৬৫) মারা গেছেন। তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ভুগছিলেন। রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের লোকজন তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে তিনি মারা যান।

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শুয়াইবুর রহমান বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওই ব্যক্তি অ্যাজমায় আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, করোনার উপসর্গ থাকায় মৃত ব্যক্তিকে বুধবার সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। সবার নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।