কুষ্টিয়ায় এক পরিবারের ৮ জনসহ ১৬ জনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ায় গতকাল বুধবার নতুন করে আরও ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে আটজন একই পরিবারের সদস্য। জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


এ পর্যন্ত জেলায় একদিনে এটাই সবোর্চ্চ শনাক্তের সংখ্যা। সব মিলিয়ে জেলায় ৯০ জনের করোনা শনাক্ত হলো।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, নতুন শনাক্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১১ জন, যার মধ্যে একই পরিবারের ৮ জন সদস্য আছেন। এ ছাড়া ভেড়ামারা উপজেলায় ৪ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় একজন আছেন।

সদর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, বরুইটুপি গ্রামের এক ব্যক্তি কয়েক দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসেন। তিনি কোভিড–১৯ রোগী ছিলেন। তাঁর পরিবারের আরও আটজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের বাড়িসহ আশেপাশের আরও কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

ভেড়ামারা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও সোহেল মারুফ বলেন, ভেড়ামারায় যে চারজন শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। ওই পরিবারের এক ব্যক্তি ঈদের সময় ঢাকায় নমুনা দিয়ে বাড়ি আসেন। তিনি ঈশ্বরদীতে বিয়ে করেন। বিয়ের পর জানতে পারেন তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। ওই ব্যক্তির বোন, দুলাভাই ও ভাগনে কোভিড–১৯ রোগী।

সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় এটিই একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের ঘটনা। ঈদের পর থেকে জেলায় প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ তাঁর। তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার এবং বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, আক্রান্ত প্রত্যেকের বাড়িসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পুলিশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে কঠোরভাবে কাজ শুরু করবে।