শ্রীপুরে শনাক্ত ২৫ জনের ২১ জনই কারখানা শ্রমিক

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। উপজেলায় এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। তাঁদের মধ্যে ২১ জনই বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফাতেহ আকরাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঈদের পর শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ বাড়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় রেড জোন ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আরিফীন।

কাপাসিয়া উপজেলায় ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ঈদের পর বিভিন্ন এলাকার লোকজনের আসা–যাওয়ার কারণে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

শ্রীপুরের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফাতেহ আকরাম জানান, গত ২৮ মে ৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত শ্রীপুরে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৫ জন। তিনি বলেন, এই এলাকায় সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে ঈদের পর কারখানা শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। নিয়মিত নমুনা সংগ্রহের কাজ চলমান আছে। দৈনিক নমুনা দিতে আসা লোকজনের মধ্যে শ্রমিকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আরিফীন বলেন, ‘আমরা কারখানাগুলোকে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রতিদিন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্পঘন এলাকাগুলোতে রেড জোন ঘোষণা করা হতে পারে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’