গুলিবিদ্ধ সেই পোস্টমাস্টার এখন কোভিডে আক্রান্ত

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গুলিবিদ্ধ সেই পোস্টমাস্টার মজিবুর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে প্রথমে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হলেও করোনা শনাক্তের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ মে পোস্টমাস্টার মজিবুর রহমান উপজেলা পোস্ট অফিস থেকে এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রের ৫০ লাখ টাকা তুলে মোটরসাইকেলে বল্লা পোস্ট অফিসে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পোস্ট অফিসের রানার রফিকুল ইসলাম। তাঁরা বেলা দুইটার দিকে বল্লা গোরস্থান পাড়া তাঁত বোর্ডের কাছে পৌঁছালে অপর একটি মোটরসাইকেলে তিন ব্যক্তি এসে তাঁদের পথরোধ করেন। কথা বলার একপর্যায়ে তাঁরা পোস্টমাস্টার মজিবুর রহমানের পায়ে গুলি করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুলি পায়ের ভেতরে থাকায় অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁর পায়ে ট্রাকশন দেওয়া হয়।

মজিবুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে মুন্না জানান, অস্ত্রোপচারের আগে মজিবুর রহমান কোভিডে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষার জন্য গত ২৭ মে তাঁর নমুনা নেওয়া হয়। ২৯ মে পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। তারপর তাঁকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। ১২ জুন আবার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হবে। করোনামুক্ত হলে অস্ত্রোপচার করে পায়ের গুলি বের করা হবে।

ছিনতাইয়ের ঘটনার পর পোস্ট অফিস পরিদর্শক শেখ হোসেন জোবায়ের বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তানজিদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে গ্রেপ্তার করে। জিসান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ২২ মে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁর জবানবন্দিতে এই টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।