ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোভিডে আক্রান্ত রোগী ২০০ ছাড়িয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এরই মধ্যে কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার নতুন করে জেলায় একজন চিকিৎসক, আক্রান্ত এক চিকিৎসকের ছয় বছরের মেয়ে, দুজন কনস্টেবলসহ ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। বর্তমানে জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০৬।

 এর আগে গত মঙ্গলবার জেলায় দুজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন নার্স, চার পুলিশ সদস্যসহ ৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এটিই জেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা। অর্থাৎ গত তিন দিনে ৭৩ জন এবং গত সাত দিনে ৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭২ জন।

১১ এপ্রিল জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধসংক্রান্ত কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন ঘোষণা করে। সেদিন থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়। ২৪ এপ্রিল জেলা সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধসংক্রান্ত জেলা কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ শয্যার আইসোলেশন কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আরও ১০০ শয্যার আইসোলেশনের অনুমোদন হয়। এ ছাড়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ৫০০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলার পৌর ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার করার চিন্তা করছে জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধসংক্রান্ত কমিটি।

 সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলায় ৫ জন চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিকসহ ২০৬ জন করোনায় সংক্রমিত। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৩ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭২ জন।

গত ৯ দিনে জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন—কোনোটাই মানছেন না সাধারণ মানুষ।

 স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন, এখন উপসর্গবিহীন কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাইরে থেকে আসা মানুষের তথ্য পেলেই যথাযথভাবে হোম কোয়ারেন্টিন (সঙ্গনিরোধ) নিশ্চিতের চেষ্টা করছেন। তবে সবার আগে মানুষের সচেতন হওয়া জরুরি বলে তাঁরা মনে করেন। সচেতনতাই পারে এর সংক্রমণ কমিয়ে আনতে।