মুন্সিগঞ্জে আরও ৫১ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

মুন্সিগঞ্জের ৫ উপজেলায় নতুন করে আরও ৫১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯–এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৫৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যুতে জেলায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩ জনে। মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫৪ জন। বৃহস্পতিবার সন্ধায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ।

নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৫ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৭ জন, লৌহজং উপজেলায় ১১ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৫ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ৩ জন আছেন। মৃতের তালিকায় যুক্ত দুজন টঙ্গিবাড়ী ও সিরাজদিখান উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা গতকাল বুধবার মুন্সিগঞ্জ আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জেলার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ ও ২ জুন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) পাঠানো নমুনার মধ্যে ২৮০ জনের ফল এসেছে। সেখানে ৫১ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার ২১৩ জনসহ জেলার মোট ৫ হাজার ২২৩ জনের নমুনা পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৬৮৮ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে।

এ পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৪১১ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৫২ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ১২০ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৮৪ জন, লৌহজং উপজেলায় ৯৬ জন ও গজারিয়া উপজেলায় ৯০ জন কোভিড রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সদরে একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৩ জন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৪ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ২ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ১ জন ও লৌহজং উপজেলায় ৩ জন মারা যান।

জেলায় করোনার সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলায় দিন দিন করোনা সংক্রমণের সংখ্যার পাশাপাশি মৃতের হারও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এ মুহূর্তে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতে হবে সবাইকে। তিনি আরও বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। ব্যক্তি–উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। জেলার সর্বত্রই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মাস্ক ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। সব ধরনের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।