করোনায় শিক্ষার্থীদের জন্য 'সংকটকালীন শিক্ষাবৃত্তি'

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশেই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের মতো আর্থিক সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরাও। অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের আয়ে পড়াশোনা চালান। করোনাকালে তাঁদের আয়ের উৎস বন্ধ। এমন বিপাকে পড়া কমপক্ষে ১৫০ শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তরুণ গবেষক ইমরান মাহফুজ ও সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত। শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে ‘সংকটকালীন শিক্ষাবৃত্তি’।

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা বৃত্তি পাচ্ছেন গোপন রাখা হচ্ছে তাঁদের নাম-পরিচয়।

মোবাইল ফোনে কথা হলো বৃত্তি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সময় আমার টিউশনি এবং পারিবারিক ব্যবসা বন্ধ। তার ওপর আমি কিডনির রোগী। এমন সময় এই বৃত্তি আমার অনেক কাজে এসেছে। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন উদ্যোগ আরও নেওয়া হলে আমার মতো আরও অনেকের উপকার হবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের বৃত্তি পাওয়া এক শিক্ষার্থী বললেন, ‘এই বৃত্তির কারণে শুধু আমার নয়—আমার পরিবারের সদস্যদেরও উপকার হয়েছে। এই সংকটের সময় এটি আমার জন্য একটা বড় সাপোর্ট। আমরা উদ্যোক্তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

এ উদ্যোগ সম্পর্কে কথা হলো সংকটকালীন শিক্ষাবৃত্তির পরিচালক ইমরান মাহফুজের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমি আর আমার বন্ধু ইয়াসির আরাফাত এ উদ্যোগটা নিলাম। কারণ করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের পথও বন্ধ। এই কঠিন মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমরা জরুরি মনে করেছি।’

প্রধানত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময় জার্নালের আর্থিক সহযোগিতায় তিনটি ধাপে শিক্ষার্থীদের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠানো হয়েছে। অন্যদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার একান্ত সহকারী মো. তোফাজ্জল হোসেন। উদ্যোক্তারা আশা করেন, সমাজের বিত্তশালীরা এগিয়ে এলে তাঁরা আরও বড় পরিসরে অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো যাবে।