নেত্রকোনায় জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা নিয়ে এক কৃষকের (৫৮) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে তিনি মারা যান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই কৃষকের মৃত্যুর পর সঙ্গে থাকা স্ত্রী আতঙ্কে লাশ রেখে বাড়িতে চলে যান। পরে আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় স্বজনেরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই কৃষককে দাফন করা হয়েছে। ওই কৃষক কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা জানতে মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মারা যাওয়া ওই কৃষকের বাড়ি আটপাড়া উপজেলায়।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই কৃষক বেশ কিছু দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। সঙ্গে দুদিন ধরে তাঁর হালকা জ্বর ও পাতলা পায়খানা ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে নিয়ে পাশের মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। চিকিৎসকের পরামর্শে ওই সময় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থা সচ্ছল না থাকায় তাঁকে সেখানেই রাখা হয়। পরে রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর সঙ্গে থাকা তাঁর স্ত্রী ভীত হয়ে পড়েন। তিনি দিশেহারা হয়ে লাশ হাসপাতালে রেখে বাড়ি ফিরে যান। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় স্বজনেরা এসে নিয়ম মেনে লাশ বাড়িতে নিয়ে যান এবং দাফন করেন।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সজিব সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ওই রোগীর ফুসফুসজনিত জটিলতায় শ্বাসকষ্ট ছিল। অবস্থা খারাপ দেখে তাঁকে ময়মনসিংহে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাঁকে নিয়ে যাননি। রাতে তিনি হাসপাতালে মারা যান। তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ছিলেন কি না, জানতে মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওয়ালীউল্লাহ বলেন, ‘ওই কৃষকের লাশ আজ সকালে স্বজনেরা এসে নিয়ে গেছেন। নিয়ম মেনে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’