তৃতীয় স্ত্রীর ফোনে বাল্যবিবাহ পণ্ড, বর কারাগারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গোপনে বাল্যবিবাহ করতে গিয়ে ধরা পড়লেন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) নামে এক ব্যক্তি। বাল্যবিবাহ করতে যাওয়ার অভিযোগে কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই ব্যক্তিকে ১ বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে সহযোগিতা করায় তাঁর বড় ভাই মো. আমজাদ আলীকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তির তৃতীয় স্ত্রীর ফোন পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিয়ের আয়োজন পণ্ড করেন।

বর দেলোয়ার হোসেন উপজেলার গোবিন্দনগর গ্রামের মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে। দেলোয়ার পৌর শহরে কাঁচামালের ব্যবসা করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন এর আগে আরও তিনটি বিয়ে করেছেন। তৃতীয় স্ত্রীকে তিনি তালাক দেওয়ার পর ছয় মাস আগে তৃতীয় স্ত্রী ছেলেমেয়ের ভরণপোষণ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের কাছে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে প্রতি মাসে ছেলেমেয়েদের খরচ হিসেবে ২ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করেন ইউএনও।

গত বুধবার রাত ৮টার দিকে দেলোয়ার তাঁর বড় ভাই আমজাদকে নিয়ে ১৪ বছর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করতে তার বাড়িতে উপস্থিত হন। তৃতীয় স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে মুঠোফোনে ইউএনওকে অবহিত করেন। ইউএনও নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশকে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে বলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ সময় বর দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর বড় ভাই আমজাদকে আটক করা হয়।

পরে কনের বাড়িতে ইউএনও উপস্থিত হয়ে দেলোয়ারকে চিনতে পারেন। তিনি বাল্যবিবাহের অভিযোগে বর দেলোয়ারকে ১ বছর ১০ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। আর তাঁর বড় ভাই আমজাদকে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ইউএনও আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেলোয়ার এর আগে আরও তিনটি বিয়ে করেছিলেন। বাল্যবিবাহের অভিযোগে দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের অভিযোগে বর ও তাঁর বড় ভাইকে বুধবার রাতেই পুলিশের মাধ্যমে শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।