পাবনায় দুজনের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পাবনা সদর উপজেলায় পৃথক ঘটনায় একজনকে গুলি করে এবং একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকালে পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে।


নিহত দুজন হলেন সদর উপজেলার ভাড়ারা খাঁ পাড়া গ্রামের হুকুম আলী খাঁ (৬৫) এবং মধুপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মজনু মিয়া (৪০)।


এর আগে গতকাল দুপুরে জেলা সদরের দিলালপুর মহল্লার একটি বাড়ি থেকে মা-বাবা ও তাঁদের পালিত মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


স্থানীয় লোকজন ও নিহতদের স্বজনেরা বলেন, হুুকুম আলী রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত দুইটার দিকে অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তিনি দরজা খুলে বাইরে বের হতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।


নিহতের পরিবারের দাবি, সম্প্রতি হুকুম আলীর নাতিকে গ্রামের কিছু মানুষ মারধর করেন। এ ঘটনায় ৪ জুন তিনি বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার জেরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে তাদের ধারণা।


ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাইদ বলেন, 'ধারণা করছি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।'


এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কারা, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


অন্যদিকে মধুপুর গ্রামের মজনু মিয়া গতকাল রাতে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে তাস খেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁকে পেছন থেকে ঘাড়ে ও গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আতাইকুলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।