যুবককে নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা, আহত স্ত্রীকে আটক

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

ঢাকার আশুলিয়ায় এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওই যুবকের স্ত্রীকে আটক করেছে। তাঁর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহত যুবকের নাম মোমিনুল ইসলাম (৩০)। তাঁর বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চন্দ্ররিয়া গ্রামে। তিনি স্ত্রী কাশমিরা বেগমকে নিয়ে সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় ভাড়ায় থাকতেন। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

পুলিশ জানায়, তারা এলাকাবাসীর কাছ থেকে ঘটনার খবর পায়। পুলিশ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে মোমিনুলের লাশ পাওয়া যায়। একই ঘরের ভেতরে আহত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর স্ত্রী কাশমিরাকে। দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। পুলিশের অনুরোধে কাশমিরা দরজা খুলে দেন। এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। আর কাশমিরাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মোস্তফা বলেন, কাশমিরার ডান হাতের রগ কেটে গেছে। ক্ষতস্থান দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এ জন্য আটকের পর চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে থেকে তাঁকে আরও উন্নত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জাবেদ মোস্তফার ধারণা, স্ত্রী কাশমিরা তাঁর স্বামীকে হত্যা করে থাকতে পারেন। এর আগে হয়তো মারধরের ঘটনা ঘটতে পারে। এ সময় দুজনেই ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেন। কাশমিরা কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর মামলা দায়ের করা হবে।