ঝালকাঠিতে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ, বিপাকে করোনা উপসর্গের রোগীরা

ঝালকাঠিতে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, সর্দি–কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীরা। আজ শনিবার সকাল থেকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালসহ সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকায় দুই-তিন দিন নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকবে।

 জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য আপাতত করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় নমুনা সংগ্রহ করলে জট সৃষ্টি হবে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রাখতে বলেছে।

ঝালকাঠি জেলায় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ১ হাজার ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮২৭ জনের প্রতিবেদন এসেছে। এর মধ্যে ৬০ জনের প্রতিবেদন পজিটিভ এসেছে। নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সদর হাসপাতালে নমুনা দিতে আসা রোগীদের হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

ঝালকাঠি শহরের পালবাড়ি এলাকার আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমার ভাইয়ের নমুনা দিতে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে জানানো হয়, বরিশাল ল্যাবে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ চলায় নমুনা পরীক্ষা বন্ধ। তাই ঝালকাঠিতে সর্বত্র নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। ভাইয়ের দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করাতে না পারলে আমাদের পরিবারকে এখন ঝুঁকি ও আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হবে।’

জেলার সিভিল সার্জন শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, ‘বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আমাদের দুই-তিন দিন নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পরীক্ষা না করাতে পারলে অহেতুক নমুনা সংগ্রহ করে লাভ নেই। এতে নমুনা সংগ্রহে জট সৃষ্টি হবে।’

এদিকে ঝালকাঠিতে কোভিড–১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলা পুলিশ লাইনসে এক নারী ও এক পুরুষ পুলিশ সদস্য রয়েছেন। আক্রান্ত অপর ব্যক্তির বাড়ি রাজাপুরে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬০ জনে।

জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় ২০ জন সুস্থ হয়েছেন। অপর দিকে দুজন মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৪ জন হোম আইসোলেশনে ও ৪ জন হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন।