লন্ডন, কাতার রুটে শিগগির ফ্লাইট শুরু হচ্ছে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

একমাত্র চীন ছাড়া আন্তর্জাতিক সব রুটে আড়াই মাস ধরে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে গত ১ জুন থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ তিনটি রুটে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিজেদের কিছুটা সফল মনে করায় বাংলাদেশ থেকে এবার লন্ডন ও কাতার রুটে সরাসরি ফ্লাইট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যাচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

আজ শনিবার বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাজ্যে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলের ব্যাপারে কোনো বিধি–নিষেধ নেই। তাই সেখানে ফ্লাইট চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটি তুলে নেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি রুট কাতারেও ফ্লাইট চালু হতে পারে।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাজ্য ও কাতারে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এর আগে দেশ দুটির অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কাতার এয়ারওয়েজ দোহা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাচ্ছে। তবে কাতারে কোনো বাংলাদেশি যাত্রী যেতে পারবেন না। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে থাকায় সেখানে বাংলাদেশির ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সে জন্য ট্রানজিট যাত্রীরা কাতার হয়ে অন্য দেশে যেতে পারবেন। যুক্তরাজ্যে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুটে সরাসরি ফ্লাইট চলতে পারবে। এ ছাড়া অন্য কয়েকটি রুটেও সরাসরি ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে উদ্যােগ নিয়েছিল বেবিচক। কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেই উদ্যােগ থামকে গেছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ মার্চ থেকে সরাসরি ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় বেবিচক। একমাত্র চীনে ফ্লাইট চালু রেখে বেশ কয়েক বার এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। সব শেষ ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ জুন পর্যন্ত বেবিচকের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। অবশ্য গেল আড়াই মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অসংখ্য চার্টার্ড ও বিশেষ ফ্লাইট ঢাকায় চলাচল করেছে। একই সঙ্গে কার্গো পণ্য ও ত্রাণসামগ্রী বহনকারী ফ্লাইটগুলোও নিয়মিত বাংলাদেশে চলাচল করছে।