করোনাকালে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত চার বিশিষ্ট নাগরিকের ভাবনা

>

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে স্বাস্থ্যখাতে দুর্বলতার বিষয়টি সামনে এসেছে। শিক্ষাখাত বিপর্যস্ত। সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আছে বিভ্রান্তি। এসব বিষয়ে শিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজের সঙ্গে যুক্ত দেশের চার বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছেন শরিফুজ্জামান

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।


উন্নয়নের ধারণা বদলে যাবে
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

এই মুহূর্তে নাগরিকদের করণীয় সম্পর্কে দেশের প্রত্যেক নাগরিকেরই কমবেশি জানা। খুব সরলভাবে বললে—আসুন, নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচাই।

বাঁচা–মরার এই প্রেক্ষাপটে এ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাটা কতটা নাজুক পর্যায়ে আছে, তা দেখা গেল। করোনাভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহ দুর্বলতা উন্মোচিত হয়েছে। এখন এই খাতকে বিশেষ 

গুরুত্ব দিতে হবে, বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং সেই বরাদ্দের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা আগেও ভালো ছিল না। এটার ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন জরুরি। মানুষের মধ্যে একটা আশাবাদ অন্তত তৈরি হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতাল ঘিরে। সেখানে অন্তত টাকা হলে কিছুটা চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছিল। তারা ব্যবসাও করছিল, বিকশিতও হচ্ছিল। কিন্তু এত বড় সংকটের সময় বেসরকারি হাসপাতালের ভূমিকা দেখে বিস্মিত হয়েছি। আসলে এ ধরনের হাসপাতালগুলো এই সময়ে সামাজিক মালিকানায় নিয়ে পরিচালনা করতে হবে।

আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে বেশ দেরি করেছি। সিদ্ধান্তহীনতা ও বিভ্রান্তি ছিল। গ্রাম ও শহরে আসা–যাওয়া, ছুটি, লকডাউন ইত্যাদি নিয়ে একেক সময় একেক কাণ্ড হয়েছে। এর দায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের, সাধারণ মানুষের নয়।

করোনাকালের সংকট আমাদের উন্নয়নের ধারণা পাল্টে দেবে। আমরা উন্নয়নের যে ধারণা পোষণ করছি এবং যে চিন্তায় চালিত হচ্ছি, সেটিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

উন্নয়ন মানে শুধুই রাস্তাঘাট, সেতু, অবকাঠামো বা দালানকোঠা নয়, আসল উন্নয়ন হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তা এবং এই নিরাপত্তার মূল জায়গা হচ্ছে স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের অনুৎপাদক নানা খাতে ব্যয় কমাতে হবে। বাংলাদেশে ছাড়াও বিশ্বের জন্য বাস্তবতা হচ্ছে, মারণাস্ত্র ও সমরাস্ত্র পরিত্যাগ করে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এটা সত্য যে এই রোগ বিশ্বের প্রায় সব দেশকে আক্রান্ত করেছে। কিন্তু ধনী দেশগুলো এ থেকে বেরিয়ে যাবে, বিপদে পড়বে আমাদের মতো গরিব দেশগুলো।

অনুন্নত দেশে গরিব আরও গরিব হবে, শ্রেণিবৈষম্য আরও প্রকট হবে। আমাদের রাস্তাঘাটে এখন অসংখ্য মানুষ ভিক্ষার জন্য ঘুরছে। করোনা–পরবর্তী সময়ে গরিব মানুষের সংখ্যা বাড়বে ছাড়া কমবে না।

আমার মনে হয়, এটি প্রকৃতির প্রতিশোধ। প্রকৃতি নানাভাবে প্রতিশোধ নেয়। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, খরা, পানির উচ্চতা বৃদ্ধিসহ প্রতিশোধের নানা রূপ আমরা দেখি। এখনকার এই রোগটা আসলে পুঁজিবাদী রোগ, যা আমাদের আত্মকেন্দ্রিক, বিচ্ছিন্ন এবং অসামাজিক হতে শেখাচ্ছে। আমরা একে অপরকে শত্রু ভাবছি। আসলে মুনাফা ও শোষণনির্ভর পুঁজিবাদের শেষ অবস্থায় আমরা এসে পৌঁছেছি, করোনা–পরবর্তী বিশ্বে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন বা পতন অনিবার্য ও অপরিহার্য হয়ে উঠবে। সামাজিক খাতের বিকাশ এবং সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাব নতুন এক বিশ্ব, যেখানে শোষণ, শ্রেণিবৈষম্য, খুনোখুনি ও যৌন হয়রানির মতো বিষয়গুলো থাকবে না। 

নজরুল ইসলাম।
নজরুল ইসলাম।


স্বাস্থ্যে সুপরিকল্পনাও সুশাসন দরকার
নজরুল ইসলাম

সব নাগরিকের মৌলিক দায়িত্ব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। যদিও ঢাকার মতো শহরে, যেখানে লাখ লাখ মানুষ দরিদ্র এবং বস্তিতে বসবাস করে, সেখানে এটা কার্যকর করা বেশ কঠিন। আমার ধারণা, পরিশ্রমী মানুষগুলোর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা একটু বেশি থাকায় হয়তো আক্রান্তের খবর কম শুনি, তবে এই সংখ্যা বাড়বে না, তা বলা কঠিন।

এখন লাল, হলুদ ও সবুজ অঞ্চল করার কথা বলা হচ্ছে। এটা খারাপ না, বাস্তবায়ন করা গেলে ঝুঁকি কিছুটা কমবে।

জনসংখ্যা অনুপাতে আমাদের দেশে মৃত্যুর সংখ্যা কম। তবে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। আমরা ততটা পারিনি। তবে এই সংকটে প্রমাণ হলো আমাদের স্বাস্থ্য খাত ভঙ্গুর, দুর্বল ও দুর্নীতিগ্রস্ত। এখানে সুচিন্তা, সুপরিকল্পনা ও সুশাসন দরকার।

আমাদের এখানে স্বাস্থ্যের নীতি ও পরিকল্পনার অনেকগুলোই ভালো ছিল বা আছে। কিন্তু ঢিলেঢালা ভাব থাকে, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্বলতা বেশি লক্ষ করা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি। অনেক দেশ তো গণপরিবহন ফ্রি করে দিয়েছে। আমি বলব, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

এ দেশের মানুষ কিন্তু সরকারের প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল। এই সংকটে প্রধানমন্ত্রী যখন আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলেন, তখন মানুষ অনেকটাই আস্থা পায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পরের ধাপে গিয়ে সেটার উপস্থিতি আর নেই বললেই চলে।

এখন আমাদের বড় প্রয়োজন সুশাসন। কিছুটা শক্ত হওয়ায় ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম বেশ কম হয়েছে, প্রয়োজনে আরও শক্ত হতে হবে। লক্ষ কোটি টাকার প্রণোদনা নিয়ে যাতে প্রশ্ন না ওঠে, যাদের প্রাপ্য, তারাই যেন পায়।

আসলে শিক্ষার অবস্থাটা বেশ জটিল। মূলধারার শিক্ষায় অনলাইন শিক্ষা কার্যকর করা কঠিন। চেষ্টা চলছে চলুক। টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টাটা আরও জোরদার হোক। শিক্ষার এই অনিশ্চয়তা আরও কয়েক মাস থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিন্তু ৯ মাস লেখাপড়া বন্ধ ছিল। এখনকার সময়ে বন্ধ নেই, কিন্তু কোনোরকম চলছে, এভাবেই চলুক। এই পরিস্থিতিতে আমরা সবাই ভালো থাকি, সুস্থ থাকি। এরপর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি সবই ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।

রাশেদা কে চৌধূরী।
রাশেদা কে চৌধূরী।


এখনো মানুষের কাছে অনেক কিছু অস্পষ্ট
রাশেদা কে চৌধূরী

নাগরিক তো আমরা সবাই, কিন্তু সচেতন কজন? আমরা যারা সচেতন নাগরিক, তাদের দায়িত্ব কম সচেতন নাগরিকদের সতর্ক করা, স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করা। এখানে বড় ধরনের ঘাটতি লক্ষ করি।

সরকারের দেওয়া বার্তাগুলো সব মানুষ সমানভাবে পাচ্ছে না বা তারা নিচ্ছে না। এর কারণ হতে পারে বিভ্রান্তি। এখনো সাধারণ মানুষের কাছে 

অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়েছে—এটা বলা যায় না। তাদের জানানো, বোঝানোর কাজটি আরও ধৈর্য ও পরিকল্পনার সঙ্গে করতে হবে।

এখানে সরকার ছাড়াও বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আরও ভূমিকা দরকার।

একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের কাছে একদিকে তার জীবন-জীবিকা গুরুত্বপূর্ণ, আরেক দিকে তার সুরক্ষা দরকার। যার যার অবস্থান থেকে এসব মানুষকে সহায়তা ও পরামর্শ দিতে হবে।

এই সংকটে আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়েছে বড় ধরনের সমস্যায়। শ্রেণিকক্ষে কিছু লেখাপড়া হতো, সেটা বন্ধ। প্রাইভেট-কোচিংও বন্ধ। বেশির ভাগ অভিভাবক বাসায় অবস্থান করলেও সন্তানকে পড়াতে সক্ষম নন। অনলাইন লেখাপড়ার একটা চেষ্টা চলছে, যতটুকু সুফল পাওয়া যায়, তাই-বা কম কিসে? আসলে পরিস্থিতিটা এমন যে লেখাপড়ার ক্ষতিটা ঠেকানোর খুব একটা কার্যকর উপায় নেই। এর মধ্যে শিক্ষক, অভিভাবকেরা যাঁর যাঁর মতো করে চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীরাও নিশ্চয়ই বসে নেই। পাঠ্যবই তো আছেই তাদের সামনে।

এই সংকটে পড়ে একটি বিষয় আরও বেশি পরিষ্কার হয়েছে, তা হলো আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা নাজুক, তা নতুন করে দেখা গেছে। আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আগেও ভালো ছিল না। চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতাল, অবকাঠামো, যন্ত্রপাতির অভাব ছাড়াও ছিল নানা অব্যবস্থাপনা। এখন আপৎকালীন পরিস্থিতি—এসব নিয়ে ভাবার সময় কম। যতটুকু সামর্থ্য আছে, তার পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। আমলাতান্ত্রিক বিধিনিষেধের ঊর্ধ্বে উঠে হয়তো কিছু কাজ করতে হবে। র‌্যাপিড টেস্ট, ফিল্ড হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবায় জড়িতদের প্রণোদনা ও ঋণ—এসব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে।

যেহেতু কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে, সেহেতু আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আলাদা করার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ, কমিউনিটি সেন্টার, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ নানা রকম অবকাঠামো পড়ে আছে। স্থানীয় চিকিৎসক ও জনপ্রতিনিধিদের কাজে লাগিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা করা, তাদের জন্য খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীকে কাজা লাগানো যেতে পারে। শৃঙ্খলিত এই বাহিনীতে প্রচুর স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। সেনাবাহিনীর হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অবসরে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। মোট কথা, রাস্তার নিরাপত্তা ও সচেতনতার দায়িত্বে নিয়োজিত না করে স্বাস্থ্যসেবায় সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা জরুরি হয়ে পড়েছে।

হারুন–অর–রশিদ।
হারুন–অর–রশিদ।


আগে সতর্কতা, পরে লেখাপড়া
হারুন–অর–রশিদ

প্রিয় নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের আমি বলব, প্রাণের চেয়ে প্রিয় কিছু নেই। এখনকার এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে অক্ষরে অক্ষরে এবং সর্বান্তঃকরণে। এখানে শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই। আমরা আক্রান্ত হওয়ার পর যেন গুরুত্ব অনুধাবন না করি, যা করার তা আক্রান্ত হওয়ার আগেই যেন করি।

এখন সময়টা আসলে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর। যেমন মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং বিভিন্ন দুর্যোগ–দুর্বিপাকে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিত্তবান নাগরিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মী—সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষের পাশে দাঁড়াই। এটা জাতীয়, মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব। সরকার নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছে, কিন্তু এত বড় সংকট সরকারের একার পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা খুবই প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীদের বলব, আগে নিজে সতর্ক থাকবে, এরপর লেখাপড়া করবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশে উচ্চশিক্ষার একটি বড় অংশ পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের একটু সহজভাবে ভাবতে বলি, তারা এই সময়টা ছুটি হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। ছুটির সময় শিক্ষার্থীর কাজ বাড়িতে পড়াশোনা করা। কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা কিন্তু মূলত স্ব–উদ্যোগেই পড়াশোনা করে। স্কুলের ছেলেমেয়েদের মতো তাদের অতটা গাইড করতে হয় না। এখনকার সময়টা ছুটি হিসেবে মনে করে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা প্রস্তুতি নিতে পারে, অনেকে কিন্তু নিচ্ছেও। এই অফুরন্ত সময়ে শিক্ষার্থীদের উচিত নিজের উদ্যোগে এবং অনলাইনে পড়াশোনা করা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোকে বলেছে অনলাইনে পড়াশোনা চালু করতে। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে সব প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনের আওতায় আনার সুযোগ নেই। তবে করোনাকালের পর সারা দেশে সব কলেজে অনলাইন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসংক্রান্ত ও প্রশাসনিক ৯৫ শতাংশ কাজই এখন অনলাইনে হয়। একাডেমিক কার্যক্রমেও প্রযুক্তির আওতা বাড়াতে হবে, যদিও শ্রেণিকক্ষের বিকল্প হিসেবে অনলাইন শিক্ষাকে ভাবার সুযোগ নেই।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও লেখক, হারুন–অর–রশিদ। নজরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং নগর গবেষক। রাশেদা কে চৌধূরী, উপদেষ্টা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাহী পরিচালক গণসাক্ষরতা অভিযান। হারুন–অর–রশিদ, উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।