পটুয়াখালীতে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে দুজনের মৃত্যু

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে পটুয়াখালীতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং অপরজন বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, উপজেলার ইন্দ্রকুল ইউনিয়নের মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন। ওই ব্যক্তি জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি বরিশাল না গিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। এ অবস্থায় তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। রোববার সকাল ৭টার দিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি আবারও হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বলা যাবে তিনি করোনায় সংক্রমিত ছিলেন কি না।

এদিকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৪৮ বছর। তাঁর বাড়ি জেলা শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায়। তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বর, হাঁচি, কাশিতে ভুগছিলেন। শনিবার রাত ৯টার পর জ্বর-শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তিকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (পরিচালক) মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি কয়েক দিন ধরে জ্বর, হাঁচি, কাশিতে ভুগছিলেন। যেহেতু এগুলো করোনাভাইরাসের উপসর্গ, তাই পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি ও আশপাশ এলাকা বিশেষভাবে অবরুদ্ধ (লকডাউন) করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুয়ায়ী মৃত ব্যক্তিদের দাফন করা হয়েছে।