ড্রামের ভেতর শিশুর লাশ, চাচিসহ আটক ২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটের বিয়ানীবাজারে গতকাল রোববার সকাল থেকে নিখোঁজ ‌ছিল তিন বছরের এক শিশু। পরে সন্ধ‌্যার দিকে শিশু‌টির‌ চাচার ঘরে একটি খা‌লি ড্রামে কম্বল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আ‌রিফ হোসেন (৩) উত্তর আকাখাজানা গ্রামের খছরু মিয়ার ছেলে।


এ ঘটনায় পুলিশ নিহত শিশু আরিফের চা‌চিসহ দুজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন চাচি সুরমা বেগম (৩৮) ও চরখাই মধুরচক গ্রামের নাহিদ আহমদ (২৭)। পুলিশের দাবি, চাচিকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় নাহিদের সঙ্গে দেখে ‌ফেলায় এ হত্যাকাণ্ড।

সুরমা বেগমের স্বামী রুনু মিয়া নিহত শিশুর বাবা খছরু মিয়ার ভাই। জায়গা–জ‌মি নিয়ে বিরোধে দুই পরিবার আলাদা থাকে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল থেকে নিখোঁজ হয় শিশু আরিফ হোসেন। এর পর থেকে প‌রিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা মিলে বি‌ভিন্ন স্থানে তার খোঁ‌জ করতে থাকেন। শিশুটির খোঁজে স্থানীয় পুকুরগুলোতে জাল ফেলে এবং মসজিদের মাইকিং করা হয়। কিন্তু বাচ্চা‌টির সন্ধান পাওয়া যা‌চ্ছিল না। পরে স্থানীয়রা সিদ্ধান্ত নেন, খছরু মিয়ার প্রতিবেশীদের ঘরে তল্লাশি করা হবে। তল্লাশির সময় সুরমা বেগমের ঘরে এক‌টি ড্রামের মধ‌্যে কম্বল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় আরিফের লাশ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়রা সুরমা বেগমকে আটকে রেখে পু‌লিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশু‌টির লাশ উদ্ধার করে। সুরমা ও নাহিদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।


বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন‌্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ‌আটক দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করবেন।


ওসি আরও বলেন, ওই নারী প্রাথ‌মিকভাবে স্বীকার করেছেন যে আটক নাহিদের সঙ্গে তাঁর পরকীয়ার সম্পর্ক। শিশু‌টি তাদের দুজনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন। এ কারণে হত্যা করা হয়েছে।