ভালুকায় তিন দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ করোনার সংক্রমণ

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় নতুন করে আরও ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনই বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক। গতকাল রোববার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই তথ্য জানান ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেলী শারমিন।

উপজেলায় প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের পর ৫০ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হতে সময় লেগেছিল ৪৮ দিন। এরপর গত তিন দিনেই শনাক্ত হয়েছেন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জনই পোশাককর্মী।

আক্রান্তের সংখ্যার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উপজেলায় প্রথম কোভিড-১৯–এ সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয় ১৯ এপ্রিল। এরপর সংখ্যাটি ৫০ ছুঁতে সময় নেয় ৪৮ দিন। পরের তিন দিনেই সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৫১ জনের। তাঁদের মধ্যে ভালুকা শিল্প পুলিশের ৫ কর্মকর্তাও আছেন। যার মধ্যে একজন এসআই ও চারজন এএসআই।

রোববার শনাক্ত ২১ জনের মধ্যে ২০ জনই তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। উপজেলার জামির দিয়ার এলাকার পোশাক কারখানায় চাকরি করেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন উপজেলায় সিডস্টোর ও জামিরদিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন। একজনের বাড়ি উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নে। এ ছাড়া তিনজন ত্রিশাল এবং একজন গফরগাঁও উপজেলার বাসিন্দা। ঠিকানার অভাবে আরেকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন।

এর আগের দিন শনিবার উপজেলায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাঁদের আটজন ছিলেন পোশাককর্মী। তাঁরাও এসকিউ ও স্কয়ার ফ্যাশন নামের কারখানার শ্রমিক। এর আগের দিন শুক্রবার উপজেলায় ১৯ জনের শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮ জন পোশাক কারখনার শ্রমিক। তাঁরা সবাই একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গত বৃহস্পতিবার তিন নারী করোনায় শনাক্ত হন। তিনজনই তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক।

জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাসুদ কামাল জানান, গত তিন দিনেই শনাক্ত হয়েছে ৫১ জন। মোট সংক্রমিত ১০১ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৯ জন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, কারখানায় আসা-যাওয়ার পথে শ্রমিকেরা ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানেন না। ফলে উপজেলার শিল্পকারখানাগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। সীমিত আকারে সব কিছু খুলে দেওয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শ্রমিকদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝুঁকি বাড়ছে।