পুলিশ বলছে 'বন্দুকযুদ্ধ', 'হত্যার' অভিযোগ স্ত্রীর

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভোলায় বন্দুকযুদ্ধে মো. শফিকুল ইসলাম (৪০) নামে চার মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার ফেরিঘাটসংলগ্ন এলাকার বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের গুলিতে, না পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন, পুলিশ তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে শফিকুলের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে গিয়ে পুলিশ গুলি করে মেরেছে।


পুলিশের দাবি, শফিকুল একজন জলদস্যু। তাঁর বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের কালুপুর-চরানন্দ গ্রামে।


ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার ও ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেনের ভাষ্য, গতকাল সোমবার গভীর রাতে জলদস্যুদের দুটি পক্ষ উত্তর মেঘনায় প্রভাব বিস্তার ও ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় জলদুস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় জলদস্যু দল দুটি ট্রলার নিয়ে তেঁতুলিয়া নদী দিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে শফিকুল ইসলামের লাশ ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেখতে পায়।

ওসি বলেন, পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে আজ সকালে পরিবারের সদস্যরা লাশ শনাক্ত করেন। ওসির দাবি, ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটারগান, চারটি রামদা, দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়। শফিকুলের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় ডাকাতি, অপহরণ, হত্যা ও মাদকের চারটি মামলা আছে।

তবে নিহত শফিকুলের স্ত্রী জেসমিন বেগমের দাবি, তাঁর স্বামীকে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলেছে। ইলিশা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন মাঝি গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে ইলিশা জংশন এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁর স্বামীকে আটক করেছিলেন।


তবে এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।