মাদক কারবার: টেকনাফ ইউপির চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

শাহাজান মিয়া
শাহাজান মিয়া

মাদক কারবারের অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইপ-১ অধিশাখা।

আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের ইপ-১ অধিশাখার উপসচিব মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত ৫৪৫ নম্বর স্মারকে জারি করা এক আদেশে শাহাজান মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই টেকনাফ মডেল থানায় দায়েরকৃত ৯৩/২০১৯ এবং ৯৪/২০১৯ নম্বর মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান ও মামলার আসামি শাহাজান মিয়ার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। শাহাজান মিয়া অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকায় টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা সমীচীন নয়। তাই ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যানপদ থেকে শাহাজান মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এ প্রসঙ্গে ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্যানেল চেয়ারম্যান আবু ছৈয়দ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি শাহাজান মিয়া ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত বছরের ২৫ জুলাই যশোরের বেনাপোল সীমান্তে গ্রেপ্তার হন। ২৮ জুলাই বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল গ্রামে তাঁর বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবা বড়ি, ৪টি দেশীয় অস্ত্র (এলজি) ও ২৫টি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছিল বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।