চাল চুরির অভিযোগে খাদ্য পরিদর্শকসহ গ্রেপ্তার ৭

বরগুনায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে চাল চুরির অভিযোগে খাদ্য পরিদর্শকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে জেলা শহরের হাইস্কুল সড়কে খাদ্যগুদাম থেকে চাল চুরির সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে থানায় মামলা করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের গাড়ি চালক মাসুম বিল্লাহ, নিরাপত্তা প্রহরী আবদুর রহমান এবং গুদাম শ্রমিক শাহিন খান, ফোরকান মুসল্লি, বিনয় দত্ত ও আবদুস সোবহান।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকির হোসেন তালুকদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সদর খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় গুদামে প্রবেশ করে প্যাকেট করা বস্তায় বোঙ্গা (লোহার পাইপ) ঢুকিয়ে চাল বের করে খালি বস্তায় ভরা হচ্ছিল। বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান হোসেনের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বরগুনা থানার একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করেন। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে ২২ বস্তা চাল, একটি চার্জার লাইট, তিনটি লোহার হুক, দুইটি বোঙ্গা, বস্তা সেলাইয়ের সুচ ও বস্তা সেলাইয়ের রশি জব্দ করা হয়।

তবে মামলা বাদী জাকির হোসেন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা আমি জানি না। সোমবার রাতে গাড়ি পাঠিয়ে আমাকে খাদ্য গুদামে আনা হয়। সারা রাত থানায় বসিয়ে রেখে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে আমার স্বাক্ষর রেখে আমাকে অফিসে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। অভিযোগের মধ্যে কী আছে তা আমি কিছু জানি না।’

তবে মামলার বাদীর এই ভাষ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান হোসেন। তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিয়ে বরগুনা খাদ্য গুদামে যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, খাদ্যগুদামে বিদ্যুতের সংযোগ থাকা সত্ত্বেও চার্জার লাইট জ্বালিয়ে গোপনে বস্তা থেকে চাল বের করে অন্য বস্তায় ভরা হচ্ছে। আমাদের দেখে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকেই আসামিদের আটক করে থানায় আনা হয়।’