৫০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল চান মেয়র আরিফুল, দুই মন্ত্রীকে চিঠি

সিলেট
সিলেট

করোনার রোগীদের জন্য সিলেটে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল চান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিভাগে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আরিফুল মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিটি মঙ্গলবার বিকেলে ই-মেইলে ও ডাকযোগে দুই মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে। যোগাযোগ করলে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সিলেটের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। আমার একটিই দাবি, ৫০০ শয্যার হাসপাতাল চাই। কোনো বেসরকারি হাসপাতালকে অধিগ্রহণ করেও এটি হতে পারে। ৫০০ শয্যার হাসপাতালে না হলে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে।’

মেয়র আরিফুল প্রায় দুই সপ্তাহ বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার নগর ভবনে যান। তাঁর স্ত্রী ও ব্যক্তিগত সহকারী করোনা ‘পজিটিভ’ হয়েছেন। এ কারণে তিনি দুই সপ্তাহ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। নগর ভবনে মেয়র কিছু সময় অবস্থান করেন। পরে মানুষজনের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

মেয়রের চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে ১০০ শয্যার সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে সরকারিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যে হারে রোগী বাড়ছে, তাতে ১০০ শয্যার হাসপাতাল নিতান্তই অপ্রতুল। তাই সরকারিভাবে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল এখন প্রয়োজন। এটি হতে পারে সরকারি ও বেসরকারি কোনো হাসপাতালকে একীভূত করে সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মাধ্যমে।

সিলেটে সরকারি হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সাধারণ রোগীরা বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন। এ বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষজনের জন্য সহনীয় নয়। তাই সরকারি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্র বাড়াতে হবে। তা না হলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে।

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ (মঙ্গলবার) তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের চার জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২৮। জেলাভিত্তিক হিসাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় সবার ওপরে সিলেট জেলা। এই জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৩৯। বিভাগের অপর তিন জেলা হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে।