ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীসহ দুজনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আজ বুধবার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিদর্শকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে নমুনা সংগ্রহ করে বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁদের লাশ দাফন করা হয়।

মারা যাওয়া দুজন হলেন নবীনগর উপজেলার মাঝিকাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে তাহসিন আক্তার (৩২) এবং নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকোড়া গ্রামের বাসিন্দা শরিফ উদ্দিন (৩৫)। তাহিসন আক্তার সিলেটে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর অফিসে আর শরিফ উদ্দিন ফান্দাউক ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক (এফপিআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট থেকে বাড়িতে আসার পর ঠান্ডা, কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন তাহসিন আক্তার। নিজ বাড়িতে আইসোলোশনে ছিলেন তিনি। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি দল তাহসিনের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। দুপুরে বিশেষ ব্যবস্থায় গ্রামেই তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

শরিফের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে শরিফ উদ্দিন শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় জানান, শরিফ সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা যান। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মৃত দুজনের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে হোম কোয়রেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।