গৌরনদীতে কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানি, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরে কলেজছাত্রী ও তাঁর বড় বোনের শ্লীলতাহানি ও তাঁদের ওপর হামলায় ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আরিফ মিয়াকে (২৪) গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 


বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, তাঁর ছোট বোন স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের ছাত্রী (২০) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তাঘাটে প্রায়ই তাঁকে পথরোধ করে উত্ত্যক্ত করেন সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য আরিফ মিয়া। ছোট বোন বিষয়টি পরিবারকে জানালে পরিবারের সদস্যরা আরিফকে শাসিয়ে দেন। এতে আরিফ ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। গতকাল বুধবার বিকেল চারটায় ছোট বোনকে নিয়ে বড় বোন পৌর সদরের দক্ষিণ বিজয়পুর মৎস্যখামারের সামনে পৌঁছালে বখাটে আরিফ তিন সহযোগীকে নিয়ে হাজির হয়ে অশ্লীল কথা বলে ছোট বোনের শরীরে হাত দেন। বড় বোন এর প্রতিবাদ করলে আরিফ মিয়া সহযোগীদের নিয়ে দুই বোনকে টানাহেঁচড়া করে ওড়না নিয়ে যান।

কলেজ ছাত্রীর মা (৫০) অভিযোগ করে বলেন, ‘বখাটে আরিফ মিয়াকে শাসিয়ে দেওয়ায় সে প্রায়ই বাড়িতে এসে আমার মেয়েদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়।’

আরিফ মিয়া হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলা ও ওড়না ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। তাঁদের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়েছে।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার বলেন, কলেজছাত্রী ও তাঁর বড় বোনকে শ্লীলতাহানি ও তাঁদের ওপর হামলার ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে আজ গৌরনদী মডেল থানায় ছাত্রলীগ নেতা আরিফ মিয়াকে প্রধান আসামি করে তিন সহযোগীসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।

ওসি আরও বলেন, আরিফ মিয়ার বখাটেপনায় এলাকার স্কুল–কলেজগামী ছাত্রীরা অতিষ্ঠ ও ভীতসন্ত্রস্ত। এর আগেও আরিফ মিয়া একাধিক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেন এবং গৌরনদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান। পরে রাজনৈতিক চাপে ফেরত দেন।