নড়াইলকে করোনামুক্ত রাখতে যা প্রয়োজন, করা হবে: মাশরাফি

মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফাইল ছবি
মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফাইল ছবি

নিজের ব্রেসলেটের নিলাম থেকে পাওয়া অর্থের একটি অংশ নড়াইলে করোনা মোকাবিলার কাজে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা। আজ রোববার দুপুরে নড়াইলের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় ভিডিও কনফারেন্সে এ ঘোষণা দেন মাশরাফি।

অনুষ্ঠানে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, করোনার এই মহাদুর্যোগে নড়াইলের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। নড়াইলকে করোনামুক্ত রাখতে যা কিছু করার প্রয়োজন, তা-ই করা হবে। এ জন্য জনবল নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দেওয়া হবে। করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহে যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে, মাশরাফি তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ করোনা মোকাবিলার কাজে ব্যয় করা হবে।

জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরার সভাপতিত্বে সভায় জানানো হয়, জেলার ৩টি উপজেলার ১০ জন বেসরকারি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে। করোনা নমুনা সংগ্রহে এবং ল্যাবে পাঠানোর কাজটি আরও গতিশীল করতে জেলা প্রশাসনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুলেন্স, জ্বালানিসহ আনুষঙ্গিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস বোস, সিভিল সার্জন আবদুল মোমেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার, কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজল মল্লিক, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজি মালিক সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার সান্যাল প্রমুখ।

নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জানান, করোনা সংক্রমিত এলাকা লকডাউন করে তাঁদের চিকিৎসাসেবা এবং প্রয়োজনে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় করোনা নমুনা সংগ্রহে অভিজ্ঞ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ৮টি পদের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন। এর মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। কালিয়া উপজেলায় তিনটি পদের সব কটি পদ শূন্য। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে একটি পদের মধ্যে একটিই শূন্য। লোহাগড়া উপজেলায় দুটি পদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে ছুটিতে আছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ৮৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা ৬০ জন। তাঁদের দুজন মারা গেছেন।