ময়মনসিংহ নগরের তিন এলাকা 'রেড জোন'

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে ময়মনসিংহ নগরের তিনটি এলাকা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের তিনটি এলাকা ছাড়া জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নকেও ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আজ সোমবার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত ময়মনসিংহ নগরের তিনটি এলাকা হলো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এলাকাসহ চরপাড়া, আকুয়া ও কাঁচিঝুলি এলাকা।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, গত শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২৯ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৪ জন। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় এ সংখ্যা ৩৯০ জন। নগরের মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজসহ চরপাড়া এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। এ ছাড়া নগরের আকুয়া ও কাঁচিঝুলি এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এ কারণে এই তিনটি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ময়মনসিংহ নগরের বাইরে সম্প্রতি ভালুকা উপজেলায় বেড়েছে সংক্রমণ। উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ জন। ফলে এই ইউনিয়নকেও ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানায়, ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় অতিরিক্ত সচেতনতামূলক ব্যবস্থা করা হবে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে সভা করে ওই সব এলাকার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। প্রয়োজনে ‘লকডাউন’ করা হতে পারে।

ময়মনসিংহ নগরের আকুয়া ও চরপাড়া এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি হলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি খুব বেশি মেনে চলছে না। গতকাল রোববার আকুয়া ও চরপাড়া মোড় এলাকায় মাস্ক ছাড়াই মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা হক বলেন, ‘রেড জোন’ এলাকায় লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কোনো এলাকা ‘লকডাউন’ করার আগে অনেক বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। তবে ওই সব এলাকার মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে।

গত ৮ এপ্রিল ময়মনসিংহ জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। জেলায় কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২৯০ জন।