কুলাউড়ায় এক দিনে সর্বোচ্চ ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গতকাল মঙ্গলবার ১৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে, যা উপজেলায় এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক শনাক্তের রেকর্ড। করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত এই ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের সাতজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, কুলাউড়া থেকে ৬ জুন যেসব নমুনা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে পাঁচজন এবং ৭ জুন যেগুলো পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে আটজন করোনা ‘পজিটিভ’ হয়েছেন। ওই দুই দিন পাঠানো নমুনাগুলোর পরীক্ষার প্রতিবেদন গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হাতে পায়।

সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন একই পরিবারের সদস্য। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে। এ ছাড়া হাজীপুর ইউনিয়নের একটি পরিবারের তিন সদস্য রয়েছেন। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন চিকিৎসক, একজনের বাড়ি কুলাউড়া পৌর শহরে এবং অপরজনের বাড়ি কর্মধা ইউনিয়নে। কাদিপুর ও হাজীপুর ইউনিয়নের ওই দুটি পরিবারের দুই সদস্য আগে থেকেই করোনায় সংক্রমিত ছিলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কুলাউড়ায় এখন পর্যন্ত এক দিনে করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়া ব্যক্তির সর্বোচ্চ সংখ্যা এটাই। এর আগে ১১ জুন দুটি পরিবারের ছয় শিশুসহ মোট ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। নতুন শনাক্ত ১৩ জনের মধ্যে শুধু দুজনের শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল। তবে এখন তাঁরা অনেকটা সুস্থ। শনাক্ত ব্যক্তিদের পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।

কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

এদিকে কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে এক ব্যক্তি (৬৫) গতকাল বিকেলে মারা গেছেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হওয়া ওই বৃদ্ধ কুলাউড়ার বাসিন্দা।

শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জন্মেজয় দত্ত বলেন, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই বৃদ্ধ গত সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এই হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বেলা তিনটার দিকে তিনি মারা যান। বিকেলে স্বজনেরা তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।