সিলেটে কোভিড শনাক্ত নারীর শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ

শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টার। ফাইল ছবি
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টার। ফাইল ছবি

সিলেটে কোভিডে আক্রান্ত এক নারীর (৭০) শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্লাজমা প্রয়োগ করা হয়েছে। এই প্রথম সিলেটে কোভিডে আক্রান্ত কারও শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ করা হলো। ওই নারী ৮ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন।

সিলেটে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে প্লাজমা দেওয়া রোগীর অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত আরএমও) জন্মেজয় দত্ত বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

এই চিকিৎসক জানান, কোভিড আক্রান্ত থেকে সেরে ওঠা খলিলুর রহমান (৩৪) নামের এক ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। 'বি পজেটিভ' গ্রুপ রক্তের প্লাজমা দেওয়া ব্যক্তি সিলেটের বাসিন্দা হলেও তিনি চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন। ঢাকায় থাকাকালে তিনি কোভিডে আক্রান্ত হন। প্রায় চার সপ্তাহ আগে ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন। আজ সকালে তাঁর শরীর থেকে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সহায়তায় প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৮ জুন ওই নারীর করোনা শনাক্ত হন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত নারীর অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় ছিলেন। তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল।

হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, প্লাজমা সংগ্রহের জন্য সরঞ্জাম প্রয়োজন। তবে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে প্লাজমা সংগ্রহের সরঞ্জাম নেই। সে জন্য বেসরকারি হাসপাতাল মাউন্ট এডোরার সহযোগিতায় আজ সকালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা খলিলুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। পরে বেলা একটার দিকে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ওই নারীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। বেলা দুইটার দিকে প্লাজমা দেওয়া শেষ হয়।

শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও জন্মেজয় দত্ত বলেন, আক্রান্ত নারীর পরিবার প্লাজমাদাতা জোগাড় করেছেন। আমরা প্রথমবারের মতো আক্রান্ত কারও শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ করলাম। ওই নারীর শারীরিক অবস্থার এখন অনেকটা উন্নতি হয়েছে।

তিনি বলেন, প্লাজমাদাতার শরীর থেকে দুই ব্যাগ প্লাজমা সংগ্রহ করা যায়। আজ খলিলুর রহমান নামের ওই ব্যক্তির শরীর থেকে দুই ব্যাগ প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক ব্যাগ আক্রান্ত নারীকে প্রয়োগ করা হয়েছে। অন্যটি সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে সেটিও প্রয়োগ করা হবে। অথবা অন্য কাউকে প্রয়োগ করা হবে।

জন্মেজয় দত্ত বলেন, এখন থেকে প্লাজমাদাতা পাওয়া গেলে ও রোগীদের প্রয়োজন হলে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন: