সাংবাদিকদের পুলিশের তলবে ডিইউজের প্রতিবাদ

একজন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার অনৈতিক তৎপরতার অভিযোগের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারের পর অন্তত ১০ জন সাংবাদিককে পুলিশের তদন্ত কমিটি তলব করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ধরনের পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।

ডিইউজে নেতারা বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দপ্তর থেকে কয়েক দিন আগে পাঠানো এক চিঠিতে ‘সুষ্ঠু অনুসন্ধানের নিমিত্তে’ নির্ধারিত সময়ে ১০ জন সাংবাদিককে হাজির হতে বলা হয়েছে। ডিইউজে নেতারা মনে করেন, পুলিশি অপরাধ সংক্রান্ত পুলিশ বিভাগের তদন্তে সাংবাদিকদের তলব করা এবং জিজ্ঞাসাবাদের পদক্ষেপ স্পষ্টতই প্রচলিত আইন ও রেওয়াজের পরিপন্থী। এ ধরনের চিঠি একধরনের মনস্তাত্বিক চাপ তৈরি করছে, যা স্বাধীন সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।

বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা এই ধরনের হয়রানি ও মনস্তাত্বিক চাপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে দেওয়া পুলিশের চিঠি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের প্রচলিত আইনে সাংবাদিকদের কাছে তথ্যের সূত্র জানতে চাওয়ার কোনো অবকাশ নেই পুলিশের। কেননা, সূত্রের গোপনীয়তা রক্ষা করা একজন সাংবাদিকের মৌলিক ও পবিত্র দায়িত্বের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তা ছাড়া সাংবাদিকদের কাজ হচ্ছে গোপনীয়তার বেড়াজাল ভেঙে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য জনগণকে অবহিত করা।

অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) সংবাদপত্র, অনলাইন বার্তা সংস্থা ও টেলিভিশনে ব্যাংকের বিজ্ঞাপন প্রদান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডিইউজের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

নেতারা বলেন, গণমাধ্যমে ব্যাংকের বিজ্ঞাপন প্রদান বন্ধ রাখার ঘোষণা মূলত গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ ও স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার শামিল।

ডিইউজে নেতারা বলেন, গণমাধ্যমের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস বিজ্ঞাপন। করোনা দুর্যোগের এই কঠিন সময়ে কোনো সংগঠন বা সংস্থা থেকে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা গণমাধ্যমের জন্য সুবিবেচনাপ্রসূত আচরণ হবে না। দেশ ও জাতি গঠনে গণমাধ্যমের যে ভূমিকা রয়েছে, এই ঘোষণায় তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নেতারা আরও মনে করেন, ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞাপন বন্ধ করা মিডিয়ার সঙ্গে বৈরী আচরণের শামিল, যা খুবই হতাশা ও দুর্ভাগ্যজনক। এ ধরনের ঘোষণা থেকে বিএবিকে সরে আসার আহ্বান জানান ডিইউজে নেতারা।