আইজিপির পাঁচ নির্দেশনা

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি

ঢাকার মতো সারা দেশে বিট পুলিশিং চালুর নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকাসহ দুটি মহানগর ও রেঞ্জ পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। আইজিপি এ সময় পাঁচ দফা নির্দেশনাও দেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকে ঢাকা ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ, ঢাকা ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ এবং এসব এলাকার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।

বিট পুলিশিং ব্যবস্থায় থানার কর্মকর্তাদের এলাকা ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। একজন কর্মকর্তা একটি এলাকায় দায়িত্ব পালন করে। এতে তিনি সব সময় এলাকায় পরিস্থিতির ব্যাপারে হালনাগাদ থাকতে পারেন। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর কিছু এলাকায় বিট পুলিশিং চালু আছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আইজিপি পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন। এ নির্দেশনাগুলো হলো, পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত হওয়া, মানুষকে নির্যাতন করা থেকে বেরিয়ে আসা, মাদকের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা, সারা দেশে বিট পুলিশিং চালু করা ও কর্মরত অবস্থাতেই পুলিশের কল্যাণ নিশ্চিত করা।

আইজিপি বলেন, গণমানুষের দোরগোড়ায় পুলিশিংকে পৌঁছে দিতে হবে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড–কেন্দ্রিক বিট পুলিশিং চালু করতে হবে। এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনাও দেশের সব পুলিশ ইউনিটে পাঠানো হবে।

আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যরা কোনোভাবেই কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। যাঁরা অবৈধ অর্থ উপার্জন করে বড়লোক হতে চাইবেন, তাঁদের পুলিশের চাকরি ছেড়ে বাড়ি গিয়ে ব্যবসা করতে হবে।

আইজিপি মানুষকে কোনো প্রকার নির্যাতন ও নিপীড়ন করা থেকে বিরত থাকার কথা উল্লেখ করেন বলেন, দায়িত্ব পালনকালে শারীরিক শক্তি নয়, আইনি সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে।

মাদক প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি পুলিশ সদস্যদের কল্যাণের প্রসঙ্গে বলেন, চাকরিরত অবস্থায় সদস্যদের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। ভালো কাজ করলে স্বীকৃতি ও উৎসাহের পাশাপাশি মন্দ কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করা হবে না।