চুয়াডাঙ্গায় ৭ পুলিশসহ ১৭ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গায় সাত পুলিশ সদস্যসহ নতুন করে ১৭ জন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৪। জেলা সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন জানান, নতুন শনাক্ত হওয়া ১৭ জনের মধ্যে গতকাল বুধবার করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড জীবননগর শাখার কর্মচারী সোলায়মান হোসেনও রয়েছেন। বাকি ১৬ জনকে আজ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় করোনায় সংক্রমিত পুলিশের মোট সংখ্যা এখন ২৫। এর মধ্যে ১৪ জন আইসোলেশনে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।

পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সুস্থ হওয়া ১৪ পুলিশ সদস্যকে ১০ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সংক্রমিত বাকিদের সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্য পুলিশ সদস্য ও পরিবারের লোকজনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশ লাইনসের রিজার্ভ অফিসে কর্মরত একজন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৩২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯৮ জনের ফল নেগেটিভ ও ১৭ জনের পজিটিভ এসেছে। করোনা পজিটিভ নতুন ১৭ জনের মধ্যে ৭ জন পুলিশ সদস্য। এ সাতজনের মধ্যে চারজন দামুড়হুদা মডেল থানায়, দুজন দর্শনা থানায় ও একজন পুলিশ লাইনসের রিজার্ভ অফিসে কর্মরত।

একই দিনের প্রতিবেদনে গতকাল উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মচারী সোলায়মান হোসেন, তাঁর স্ত্রী ও স্থানীয় মসজিদের একজন ইমাম করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া এ তালিকায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের একজন, কুলচারার দুজন, দামুড়হুদা উপজেলার দলিয়ারপুরের দুজন, নতিপোতার একজন ও জীবননগর উপজেলার খয়েরহুদার একজন আছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, নতিপোতা গ্রামের ওই ব্যক্তি জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতের গাড়িচালক। জয়পুরহাটে কর্মরত অবস্থায় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। পরে নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হন।

একের পর এক পুলিশ সদস্য করোনা পজিটিভ হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, নিজেদের কাজের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব পালনে পুলিশ সহযোগিতা করে। পুলিশ সদস্যরা এভাবে আক্রান্ত হলে এসব কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।