দাগনভূঞায় উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনা পজিটিভ

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় জ্বর-কাশিসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পরদিন জানা গেল, তিনি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ছিলেন। গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই দিন সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, জ্বর-কাশিসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই ব্যক্তি (৫০) গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার পাওয়া ফলাফলে জানা যায়, তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ ছিলেন।

দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান জানান, তাঁর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের ওই মৃত ব্যক্তি ফেনী শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চাকরি করতেন। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁকে বিশেষ ব্যবস্থায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও একজনের মৃত্যু
দাগনভূঞা উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও একজন ব্যক্তি (৫৫) গতকাল রাতে মারা গেছেন। তিনি উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ সেকান্তপুর (ইয়ারপুর) গ্রামের বড় বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কিডনিসহ নানাবিধ রোগে আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন।

জ্বর–কাশিসহ করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে ১৫ জুন দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে আবার বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকা নেওয়ার সময় পথে তিনি মারা যান। তাঁকে রাতেই বিশেষ ব্যবস্থায় হিন্দুধর্মীয় বিধানমতে পারিবারিক শ্মশানে সমাহিত করা হয়।

দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুবাইয়েত বিন করিম জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুজনকে তাঁদের নিজ নিজ ধর্মীয় বিধানমতে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন ও সৎকার করা হয়।