ভোলার ৪৫টি ওয়ার্ড রেড জোনে, ইয়েলো জোনে ১১টি

ভোলায় নতুন করে আরও ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯–এ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৬ জনে।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভোলার ৫টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের ৪৫টি ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১১টি ইউনিয়নের ১১টি ওয়ার্ডকে রাখা হয়েছে ইয়েলো জোনে। বাকিগুলো পড়েছে গ্রিন জোনে। গত সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দু–এক দিনের মধ্যে বিভক্ত এলাকাগুলোর পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় প্রথমে করোনা শনাক্ত হয় গত ২৩ এপ্রিল। ওই মাসে মোট পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়। মে মাসে সংক্রমিত হন ৫৮ জন। এরপর চলতি জুন মাসের ১৮ দিনেই শনাক্ত হলেন ১১৩ জন। মোট সংক্রমিতদের মধ্যে সুস্থ্ হয়েছেন ৪৮ জন। মারা যাওয়ার পর পজিটিভ এসেছে দুইজনের। করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ১০ জন। যাঁদের কোনো পরীক্ষা হয়নি।

ভোলার সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালি বলেন, ভোলার চারপাশে ২৬টি লঞ্চঘাটসহ অসংখ্য ঘাট দিয়ে মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলা থেকে যাতায়াত করছে। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার হার একদমই কম। সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করার পাশাপাশি সুরক্ষাও নিচ্ছে না। এ কারণেই জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত সোমবার জরুরি সভায় ভোলার পাঁচটি পৌরসভা ও কিছু ইউনিয়নের ওয়ার্ডকে রেড জোনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কার্যক্রম শুরু হবে দু–এক দিনের মধ্যে।

সিভিল সার্জন সূত্র আরও জানায়, ভোলা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড, বাপ্তা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড, আলীনগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তর দিঘলদীর ২ নম্বর ওয়ার্ড, চরসামাইয়ার ১ নম্বর ওয়ার্ড, দৌলতখান পৌরসভার ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড, গঙ্গাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, লালমোহন উপজেলার লালমোহন পৌরসভার ২, ৪, ৬, ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং চরভুতা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ও লালমোহন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড, চরফ্যাশন উপজেলার চরফ্যাশন পৌরসভার ১, ৩, ৪, ৫, ৬, ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড, আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড, আবুবকরপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডক রেড জোনে পড়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, আক্রান্তের সংখ্যার অনুপাত ও নীতিমালা অনুসারে ওয়ার্ডগুলোকে রেড জোন ও ইয়েলো জোনের আওতায় আনা হয়েছে।