শরীয়তপুরের সখিপুর থানার ৫ পুলিশের করোনা শনাক্ত

শরীয়তপুরে গত দুই দিনে আরও ২২ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার পাঁচ পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৪। চলতি জুন মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে সংক্রমিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

সখিপুর থানার পাঁচজন পুলিশ সদস্যের করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক। তিনি বলেন, ওই পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই। স্থানীয় একটি স্কুল ভবনে তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা গেছেন, তাঁদের শনাক্ত করে পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শরীয়তপুরে ১৩ এপ্রিল প্রথম চারজন করোনায় সংক্রমিত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর এ সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ৩১ মে পর্যন্ত জেলায় করোনা রোগী ছিলেন ১২৫ জন। আর চলতি জুনের ১৭ দিনে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৭৯ জন।

সবচেয়ে বেশি করোনার সংক্রমণ ঘটেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলায়। এখানে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮২ জন। এর মধ্য পৌর শহরেরই ৪০ জন। এ ছাড়া জাজিরা উপজেলায় ৫৩, নড়িয়ায় ৫০, ভেদরগঞ্জে ৫৮, গোসাইরহাটে ২৬ ও ডামুড্যায় ৩৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩৬ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন।

জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোকাল পারসন ও সিভিল সার্জন অফিসের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের সময় বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন শরীয়তপুরে বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁদের কারও কারও মাধ্যমে করোনা ছড়িয়েছে। এ কারণে জুনে সংক্রমণ ঘটেছে বেশি। সংক্রমণের হার বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন এলাকাকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই কাজ শেষ হয়ে গেলে সে অনুযায়ী সংক্রমণ ঠেকানোর কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।